বিজেপিতে রদবদলের সম্ভাবনা ছটপুজোর পরে! বাংলার দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে দুই পর্যবেক্ষককে
বিজেপিতে রদবদলের সম্ভাবনা ছটপুজোর পরে! বাংলার দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে দুই পর্যবেক্ষককে
বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি বদল করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের (Kailash Vijayvargiya) মতো নেতাদের নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও তাঁকে এবং শিবপ্রকাশকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে। এনিয়ে দলে অসন্তোষের মধ্যেই রদবদল জল্পনা জোরদার হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের পাশাপাশি পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে শিবপ্রকাশকেও। রয়েছে আরও পরিবর্তনের সম্ভাবনা।
প্রত্যাশা পূরণ হয়নি
গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির স্লোগান ছিল ইসবার ২০০ পার। যদিও বিজেপি তিনঅঙ্কে পৌঁছতে পারেনি। তার অনেক আগেই থামতে হয়েছে তাদের। বলা ভাল প্রত্যাশাপূরণের অনেক আগেই থামতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার জন্য বিজেপির রাজ্য নেতারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের দোষারোপ করেছেন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত
নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেই দেখা গিয়েছে বিজেপির বিধায়করা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। শুরুটা করেছিলেন মুকুল রায়। এরপর আরও অনেকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলবদলের এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতারা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-শিবপ্রকাশদের দায়ী করেছেন। কেননা ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের একের পর এক নেতা বিজেপির এইসব কেন্দ্রীয় নেতার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আর ভোটের পরেই বিজেপি সাফল্য অধরা হতেই সেইসব নেতারাই পুরনো দলে ফিরতে শুরু করেছেন। যা নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
মূল নিশানা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
এব্যাপারে রাজ্য বিজেপির মূল নিশানা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সোমবার বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে কার্যত কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন। পাশাপাশি কুকুর এবং কৈলাশের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন ভোডাফোন আবার পশ্চিমবঙ্গে। ভোটের আগে বিজেপির পাশে ঘোরাফেরা করা অভিনেতা-অভিনেত্রী টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট মেটার পরে তাদের একাংশ যেমন তৃণমূলে চলে গিয়েছেন, অন্য অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার পিছনে তথাগত রায় সেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন।
পুজোর পরেই নতুন রাজ্য কমিটি
বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে আনা হলেও, এখনও পুরনো রাজ্য কমিটিই কাজ করে চলেছে। ছটপুজোর পরেই বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। সেখানে গুরু দায়িত্বে ফেরানো হতে পারে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। ভোটের আগে একটা সময়ে যখন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে প্রতিদিনই কেউ না কেউ যোগ দিচ্ছিলেন, সেই সময় তিনি বাধা দেন বলে সূত্রের খবর। এরপর তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে সংগঠনের দায়িত্বে অমিতাভ চক্রবর্তীকে আনা হয়। সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ভিত্তি আরএসএস হওয়ায় নতুন রাজ্য কমিটিতে আরএসএস-এর হাত আরও শক্ত হতে চলেছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পর্যবেক্ষক বদলের সম্ভাবনা
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এখনও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক পদে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং শিবপ্রকাশকে রেখে দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে তাঁদের সরিয়ে বিএল সন্তোষ এবং অমিত মালব্যকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অন্য একটি সূত্রে নতুন নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে এব্যাপারে রাজ্য বিজেপির তরফে কেউ কোনও কথা বলতে নারাজ।