শুভেন্দু পর্বে আসল 'কালপ্রিট' কে? দাদা বনাম দিদির দ্বন্দ্ব শুরু হয় কার অঙ্গুলিহেলনে
দল বাঁচাতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের পুর প্রশাসককে ফোন করেছিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে। তবে তাতেও বরফ গলেনি। ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা জীতেন্দ্র তিওয়ারিও যে শুভেন্দুর অধিকারীর পথে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় বুধবার সন্ধ্যাতেই। বুধবার পানাগড়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন জীতেন্দ্র। সেখানে ছিলেন শুভেন্দুও। তবে তাসের ঘরের মতো তৃণমূলের এই পতনের আসল কারণ কী?
আমরা বিজেপিতে যাচ্ছি
আজ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর পানাগড়ে সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকে যোগ দেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু,পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান, দুর্গাপুর পৌরসভার ৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়, গুসকরা পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বিজেপিতে যাচ্ছি। জয় শ্রী রাম৷'
আইপ্যাকের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ
এদিকে সুনীল মণ্ডল বাড়ির সামনের রাস্তায় তাঁর ও শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছিল আগেই। এই প্রসঙ্গে সুনীল মণ্ডলের বক্তব্য, দলের অনেকেই উচ্চ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ৷ তাঁরাই এসব করছে। দলের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বুধবার প্রশান্ত কিশোর এবং আইপ্যাকের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
আইপ্যাক মূল কালপ্রিট
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি কেন এই সিদ্ধান্ত নিলে? ও বলেছে এভাবে দল চলতে পারে না। শুভেন্দু সহ দলের কেউ আইপ্যাক তথা টিম পিকের কাজে খুশি নয়। এরাই কালপ্রিট৷' প্রায় একই সুর শোনা গেল দুর্গাপুর পৌরসভার ৪ নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়৷
গুরুত্বহ দিতে নারাজ তৃণমূল
যদিও এই বৈঠককে কোনও গুরুত্বহ দিতে রাজি হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, যাঁরা যেতে চায় যাক। ধরে রাখার কিছু নেই। দুষ্টু গরু থেকে ফাঁকা গোয়াল ভালো, মন্তব্য করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বাসঘাতক বলে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন সৌগত রায়।