‘মৃত’ বালক বাড়ি ফিরেই জীবিত! ভাঙচুর হাওড়ার হাসপাতালে
হাসপাতালে ‘মৃত' বালক বাড়ি ফিরেই জীবিত। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে এনেও শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি। শেষমেশ সত্যিই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।
কলকাতা, ২৫ অক্টোবর : হাসপাতালে 'মৃত' বালক বাড়ি ফিরেই জীবিত। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে এনেও শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি। শেষমেশ সত্যিই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা একটু দায়িত্ব সচেতন হলে হয়তো বাঁচানো যেত জলে ডুবে যাওয়া ওই বালককে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালের।
চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এরপর নিমেষেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালান মৃতের পরিবারের সদস্য-আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয়রা। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের মারতেও উদ্যত হন তাঁরা। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের বেড ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এলাকা উত্তপ্ত থাকায় হাসপাতালে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
এদিন দুপুরে হাওড়ার লিলুয়ায় একটি পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ওই বালক। স্থানীয়রা তাকে তলিয়ে যেতে দেখে দ্রুত জলে ঝাঁপ দিয়ে তুলে আনেন। দেরি না করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে। সেখানে গেলে চিকিৎসকরা ওই বালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকজন মৃত বালককে ফিরিয়ে আনেন।
কিন্তু বাড়িতে আনার পথেই তাঁরা লক্ষ্য করেন, ওই বালকের শ্বাস চলছে। অর্থাৎ হাসপাতালে ঘোষিত মৃত বালক বেঁচে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এবারও পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা বলেন মৃত। ওই বালকের আত্মীয়-পরিবার-পরিজন ও স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে যখন আনা হয়েছিল ওই বালক বেঁচেছিল। চিকিৎসকরা গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল বালকটির। এরপরেই কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগে ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালে।