গড়িয়া শব-কাণ্ডের জের, মৃত ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা না করার ভাবনা সরকারের
গড়িয়া শব-কাণ্ডের জের, মৃত ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা না করার ভাবনা সরকারের
গড়িয়ার শব-কাণ্ডের জেরে এবার মৃতদেহের করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। সূত্রের খবর, এখন থেকে কোনও মৃতদেহেরই যাতে করোনা পরীক্ষা না হয় সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি যে সমস্ত মৃত ব্যক্তির করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না তাদের কোভিড-১৯ টেস্টের কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে সরকার।
গড়িয়া শ্মশান কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি
এদিকে গত বৃহস্পতিবার একটি ভাইরাল ভিডিও-র হাত ধরে সামনে আসে গড়িয়ার শব-কাণ্ডের কথা। ওই ভিডিওতে দেখা যায় গড়িয়া শ্মশানে বেশ কিছু পচাগলা দেহগুলির গলায় আঁকশি গেঁথে হিড়হিড় করে টেনে হিঁচড়ে তোলা হচ্ছে গাড়িতে। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সত্কারে অমানবিকতার অভিযোগ
একাধিক মহল থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের মৃতদেহ পাচারের অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গড়িয়া শ্মশান চত্বরে। স্থানীয়দের দাবি, বুধবার গড়িয়া শ্মশানে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ সত্কারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ মৃতদেহ গুলি ছিল করোনা আক্রান্তদেরই। যদিও সমস্ত দাবি খারিজ করে শনিবার রাজ্য সরকার জানায় গড়িয়া শব-কাণ্ডের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনও যোগ নেই। ওগুলো সবই বেওয়ারিশ লাশ।
গড়িয়া শব-কাণ্ড নিয়ে একযোগে সাফাই স্বাস্থ্য বিভাগ-পুলিশের
পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এগুলি অজ্ঞাতপরিচয় ও দাবিদারহীন মৃতদেহ। এই ১৪টি মৃতদেহ এতদিন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ছিল। কোনও দাবিদার না মেলায় নিয়ম মতো ১৫ দিন পর তাদের সৎকারের জন্য পাঠানো হয়। তাদের আরও দাবি এই ঘটনার মাধ্যমে আসল ঘটনাকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে এক শ্রেণির মানুষ। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশ এই ভিডিওকে ভুয়ো বলে দাবি করেছে। এই মৃতদেহের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনও সম্পর্ক নেই বলে তারাও দাবি করেছে। যদিও গড়িয়া শব-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের একাধিক বিভাগের একসুরে কথা বলাতে অন্য গন্ধ দেখছে বিরোধীরা।
রোগীর পরিবারের অহেতুক হয়রানি রুখতেই নতুন সিদ্ধান্ত
পরবর্তীতে স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছিল ওয়াকিবহাল মহলের মতে বর্তমানে চাপের মুখে পড়ে মৃতদের করোনা পরীক্ষা নিয়ে নতুন পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। যদিও এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সভাপতি শান্তনু সেনও তার মতামত ব্যক্ত করেন। তার মতে, এমনিতেই অনেক ক্ষেত্রে কোনও রোগী মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেখা গেছে। তার জেরে মর্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীর পরিবারের লোকেদের। তাই তাদের অহেতুক হয়রানি রুখতেই বর্তমানে এই ধরণের সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
তাঁকে নিয়ে অপপ্রচার করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা! অনুব্রত মণ্ডলকে কতটা গুরুত্ব, জানালেন মুকুল রায়