বিজেপিতে বড় ভাঙন, নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দলত্যাগ সাধারণ সম্পাদকের
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিজেপিতে ফের ভাঙন ধরে গেল। দল ছাড়লেন পাহাড় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শান্তা কিশোর গুরুং।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিজেপিতে ফের ভাঙন ধরে গেল। দল ছাড়লেন পাহাড় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শান্তা কিশোর গুরুং। বিল আইনে পরিণত হওয়ার পরই বিজেপির অন্দরে বিরোধী স্বর তীব্র হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল চাড়লেন শান্তা কিশোর।
পাহাড় বিজেপিতে ভাঙন
পাহাড়ে শান্তা কিশোরের দল ছাড়ার আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদ সদস্য দল ছেড়ে প্রতিবাদী হয়েছিলেন। এবার বিজেপিতে ভাঙন লেগে গেল পাহাড়ে। এনআরসি ও সিএএ-র জেরে দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ে বিজেপিতে ভাঙন লেগেই ছিল। ইতিমধ্যে ১০৫ জন পদাধিকারী বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
বিনয় তামাংপন্থীরা সক্রিয়
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পাহাড় বিজেপিতে এই ভাঙনের জেরে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ও মোর্চার বিনয় তামাংপন্থী নেতাদের হাত শক্ত করবে। এদিন সিএএ-র প্রতিবাদে বিনয়পন্থীরা বিশাল মিছিল করেন পাহাড়ে। শান্তাকিশোরের দলত্যাগ নিয়ে এমনিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শান্তাকিশোর বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেও তাঁকে নিষ্ক্রিয় নেতা বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
দলত্যাগে বিজেপির সাফাই
পাহাড় বিজেপির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, লোকসভা নির্বাচন থেকেই সক্রিয় ছিলেন না শান্তাকিশোর। তাই তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে তাঁর পদ থেকে। তিনি স্বেচ্ছায় দল ছাড়েননি। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শান্তাকিশোরের অভাব অনুভূত হবে না দলে। পাহাড় বিজেপি অবিচ্ছিন্ন আছে বলেই দাবি মনোজের।
দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দলত্যাগী যাঁরা
এর আগে আরও একজন জেলা সাধারণ সম্পাদক অনিল শর্মা দল ছাড়েন। দলত্যাগী ১০৫ জন পদাধিকারীর মধ্যে দার্জিলিং জেলা কমিটির অন্তত ৩০ জন ছিলেন। কালিম্পং জেলার ৩৬ জন ছিলেন। তার মধ্যে যুব মোর্চার কালিম্পং জেলা সভাপতি উত্তম রাই ও জেলা সহ সভাপতি সুজন বিকেও ছিলেন। ছিলেন যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক সাগর দেওয়ালিও।
কার্শিয়াং উল্লেখযোগ্য দলত্যাগী
আবার এই দলত্যাগীদের তালিকায় ছিলেন কার্শিয়াং জেলার ৩৯ জন পদাধিকারীও। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম গল কার্শিয়াং মহকুমা সাংগঠনিক সভাপতি প্রিয়াংকা ছেত্রী। মোট কথা নাগরিকত্ব সংসোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই পাহাড় বিজেপিতে রক্তক্ষরণ চলছে।
১ লক্ষ গোর্খার নাম বাদ, তারপর...
উল্লেখ্য, অসমে এনআরসির ফলে ১ লক্ষ গোর্খার নাম বাদ পড়ে। তারপর বিজেপি পাহাড়ে আশ্বাস দিয়েছিল পাহাড়বাসীর স্বার্থরক্ষার। পাহাড় থেকে বিজেপির সাংসদ নির্বাটিত হওয়ার পর স্বার্থরক্ষা তো দূর-অস্ত, তাঁদের নাগিরকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উটে পড়ায় বিজেপিতে এই ভাঙন প্রবণতা তৈরি হয়েছে।