বাংলায় ভোট পরবর্তী গণ্ডগোল, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি ১৪৬ বিশিষ্ট জনের
বাংলায় ভোট পরবর্তী গণ্ডগোল, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি ১৪৬ বিশিষ্ট জনের
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (post poll violence) নিয়ে চিন্তিত বিশিষ্টজনেরা। নির্দিষ্ট করে রাজনৈতিক হামলা এবং হত্যা করা হচ্ছে। এইভাষাতেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে (ramnath kovind)চিঠি দিলেন দেশের একদল বিশিষ্টজন। সেই তালিকায় রয়েছেন, প্রাক্তন বিচারপতি (judges), আমলা (bureaucrats), পুলিশ আধিকারিক (police officers) এবং কূটনীতিকরা (diplomats) রয়েছেন এই তালিকায়।
স্মারকলিপিতে সই ১৪৬ জনের
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে সই করেছেন ১৪৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এই তালিকায় রয়েছেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপকি, ডিজিপি, রাষ্ট্রদূত। বিসি প্যাটেলের মতো ব্যক্তিও রয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কে ব্যাস, বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। স্মারকলিপিতে রাজ্যে টার্গেট কিলিং-এর অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রত্যেকেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সমর্থন করেন। সেখানে প্রতিশোধ আর আগ্রাসনের কোনও স্থান নেই।
স্মারকলিপিতে একাধিক অভিযোগ
স্মারকলিপিতে সংবাদ মাধ্যমের খবরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে খুন, ধর্ষণ, হামলা, সম্পত্তি হানির কথা বারবার বলা হয়েছে। সেখানে দেশ বিরোধী কার্যকলাপও হয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে সাধারণ মানুষকে ঘর ছেড়ে আশ্রয় শিবির বেছে নিতে হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পল বেরনোর পর থেকে হামলার ঘটনা চূড়ান্ত পর্যায়ে। অভিযোগের ক্ষেত্রে সেখানে স্থানীয় প্রশাসন পর্যাপ্ত সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে তা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করবে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ
এই স্মারকলিপি প্রদানকারীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে তিনি যেন সাংবিধানিক পথে চলেন এবং শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। পাশাপাশি সমাজের সব মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের পাঠানো রিপোর্টের ওপরে যেন কড়া নজর রাখা হয়। শান্তি বজায় রাখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে।
'বিদ্রোহী' সাংবাদিক গ্রেফতারির ঘটনায় 'দাদাগিরি' বেলারুশের, আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় ইউনিয়নের
অভিযুক্তদের শাস্তির দাহি
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে, দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তদের যেন কোনওভাবেই ছেড়ে দেওয়া না হয়। তবে তার আগে দেখতে হবে, কোনও সরকারি কর্মী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি এইসব ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের চিহ্নিত করতে হবে। তৃতীয়ত হিংসার ঘটনা মামলা নথিভুক্ত করতে হবে। আর সর্বশেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে হবে এবং অভিযোগকারীদের বিচার পাইয়ে দিতে হবে। আর পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় সংবেদনশীল মামলাগুলিকে এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়ে দেশের সংস্কৃতি ও অখণ্ডতা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।
'ভেবেছিলাম খারাপ কিছু হতে চলেছে', অশ্রু সজল চোখে অকপট কেকেআরের করোনাজয়ী নিউজিল্যান্ড তারকা