দার্জিলিংয়ের বনধে তীব্র খাদ্যসংকট, তবু দাউদাউ করে জ্বলছে খাবারবোঝাই গাড়ি
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলনে প্রায় দু-মাস ধরে আগুন জ্বলছে। হিংসার আগুনে পুড়ছে সরকারি অফিস, গাড়ি, থানা ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি। এবার পুড়ল খাবারের গাড়িও।
পাহাড়ে আগুন জ্বলছেই। এতদিন শুধু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠছিল। এবার অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠল খোদ প্রশাসনেরই বিরুদ্ধে। পাহাড়ে খাবার বোঝাই গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল মঙ্গলবার রাতে। দার্জিলিং স্টেশনের কাছে খাবারের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন।
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলনে প্রায় দু-মাস ধরে আগুন জ্বলছে। হিংসার আগুনে পুড়ছে সরকারি অফিস, গাড়ি, থানা ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি। অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলছে পাহাড়ে। দোকান-পাট বন্ধ। খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের মানুষের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার সংস্থানও নেই। পাহাড়ের অর্থনৈতিক পরিকাঠানো শেষ হয়ে যেতে বসেছে একেবারে।
এখন খাবারের জন্য সমতলের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু সমতল থেকে পাহাড়ে খাবার তুলতে গেলেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রশাসন। অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনই খাবারের গাড়ি আটকে দিচ্ছে। আন্দোলন রুখতে গিয়ে পাহাড়বাসীর মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হাতে না মারতে পেরে ভাতে মারার অপচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ মোর্চার।
পাহাড়বাসীর মুখে অন্ন তুলে দিতে রাতের অন্ধকারে সমতল থেকে পাহাড়ে খাবার আনার চেষ্টা করছিল মোর্চা নেতৃত্ব। কিন্তু প্রশাসনের চোখ এড়াতে পারেনি। দার্জিলিং স্টেশনের কাছে ওই গাড়ি আটকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খাবার বোঝাই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে প্রশাসন। এসব মোর্চারই কীর্তি বলে পাল্টা অভিযোগ প্রশাসনের।
শুধু মোর্চাই নয়, শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও প্রশাসনের বিরুদ্ধে খাবার লুঠের অভিযোগ এনেছিলেন। রাস্তা আটকে খাবার লুঠ করা হচ্ছিল বলে অশোকবাবুর অভিযোগও ছিল পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, সমতল থেকে খাবার ও ওষুধের গাড়ি পাহাড় অভিমুখে রওনা দিলেই নানা অছিলায় তা আটকে দেওয়া হচ্ছে।