মুকুলকে জোর ধাক্কা! বিজেপিতে মোহভঙ্গের পর তৃণমূলে ফেরার আবেদন ৫ নেতার
লোকসভা ভোটের পর হাওয়া বুঝে ওঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে এই স্বল্প দিনেই তাঁরা হাঁফিয়ে উঠেছেন। তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপিতে।
লোকসভা ভোটের পর হাওয়া বুঝে ওঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে এই স্বল্প দিনেই তাঁরা হাঁফিয়ে উঠেছেন। তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপিতে। এবার তাঁরা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছে, হুগলির খানাকুলের ৬-৭ জন নেতা দলে ফিরে আসতে আবেদন করেছেন।
তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহী
দলত্যাগী নেতারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করায় দলীয় নেতৃত্বও ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ সূত্রের খবর, একজনকে বাদ দিয়ে বাকিদের ফিরিয়ে নিতে তৃণমূল উদ্যোগী। শীঘ্রই তাঁদের দলে ফেরানো হবে। এ ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
ধরে রাখতে ব্যর্থ বিজেপি
মাত্র ক-দিন আগে তৃণমূল ছেড়ে দলে নাম লেখানো নেতারা ফের পুরনো দলে ফিরে যেতে চাওয়ায় বিজেপি চরম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে। কেন তৃণমূল ভাঙিয়ে এনেও তাঁদের ধরে রাখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে দিয়েছে নেতৃত্ব। তৃণমূল ভেঙে বিজেপিকে বাড়ানোর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, এই দলবদল বিজেপির বাড়া ভাতা ছাই ফেলে দিল।
বিজেপিতে রাজনৈতিক কর্মসূচিহীন ওঁরা
এদিকে তৃণমূল এখনও একজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। দলের একটা অংশ তাঁকে ফেরাতে চাইছেন না। তবে বাকিদের নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তাঁরা ডাক না পাচ্ছিলেন না তাঁরা। তাঁদের নিয়ে বিজেপিতে কোন্দল ছিল চরমে। এই অবস্থায় কর্মসূচিহীন অবস্থায় বসে থেকে তাঁরা হাঁফিয়ে উঠেছিলেন।
দল ছেড়ে ফিরতে আগ্রহী যাঁরা
লোকসভা নির্বাচনের ফলে রাজ্যে বিজেপির উত্থান হওয়ার পর খানাকুল এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নইমুল হক। তিনি দিল্লি গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপর একে একে কিশোরপুর দু-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্দীপ বর, রামমোহন এক নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় দোলুই, অরুণ্ডা পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন দোলুই ও খানাকুল এক নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ বাদশা-সহ আরও অনেকে।
বিজেপিতে গুরুত্বহীন, তাই ফের তৃণমূলে
কিন্তু তাঁদের যোগদানের পর থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয় বিজেপিতে। বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা তাঁদের মানতে চাননি। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব তাঁদের প্রকাশ্য কোনও কর্মসূচিতে ডাকছিলেন না। ফলে রাজনৈতিক কর্মসূচিহীন থেকে তাঁরা ফের তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানান।
দলত্যাগীদের ফেরাতে তৃণমূলে ভাবনা
হুগলি তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, তাঁদের আবেদনের পর সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শুধু একজনকে নিয়েই এখনও সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। দলের একাংশ নাইমুল হককে তৃণমূলে ফেরাতে রাজি নন। তিনিই মূলত দল ভাঙানোর কাজ করেছিলেন, দলের আরও অনেক ক্ষতি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি ভুলস্বীকার করে ফিরতে প্রস্তুত।
[ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাৎপ্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা! জল্পনা রাজনৈতিক মহলে]
[ চন্দ্রযান ২: সেই রাতে পাকিস্তানও ভারতের 'বিক্রম'-এ নজর রেখেছিল! প্রকাশ্যে চমকপ্রদ তথ্য]