শুভেন্দুর বহু ঘনিষ্ঠই 'ইস্তফা'র প্রশ্নে নারাজ! 'অনুগামী' শিবিরের অন্দরে 'পদ' ঘিরে কোন হাওয়া
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কার্যত মমতার হাতে তিলে তিলে গড়া তৃণমূল দূর্গে বড়সড়ৃ ধাক্কা দিয়ে দিলেন দলেরই এককালের পোক্ত সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর বিধায়ক পদে ইস্তফা তিনি দিতেই বাংলার রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে অঙ্ক মেলাতে এখন ব্যস্ত সমস্ত মহল। এদিকে, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একটি বড় অংশ এখনই ইস্তফার প্রশ্নে নারাজ। এমনই তথ্য তুলে ধরেছে বাংলার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের খবর।
অনুগামী শিবিরের অন্দরে কী ঘটছে?
মূলত,
অধিকারীগড়
মেদিনীপুরের
এবং
তার
সঙ্গে
ঝাড়গ্রামের
একটি
বড়
অংশের
রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্বরা
শুভেন্দু
অনুগামী
বলে
পরিচিত।
দেখা
গিয়েছে,
বুধবার
শুভেন্দুর
ইস্তফা-বোমার
পরও
পূর্ব
মেদিনীপুর
,
পশ্চিম
মেদিনীপুর
ও
ঝাড়গ্রামের
বিধায়কদের
মধ্যে
কেউই
নিজেদের
পদ
ছাড়ার
কথা
বলেননি।
এমন
কি
জেলা
পরিষদের
কর্মাধ্যক্ষ,
পঞ্চায়েতের
প্রতিনিধিরাও
সেই
রাস্তায়
হাঁটার
কথা
সেভাবে
কিছুই
জানাননি।
যদিও
নন্দীগ্রামের
হরিপুরের
পঞ্চায়েতের
উপপ্রধানের
বার্তা
'তৃণমূলের
উপপ্পধানের
পদ
থেকে
ইস্তফা
দেব।'
ফলে
জল্পনা
বেড়েছে
বহু
আঙ্গিকে।
পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মহলে কী চলছে?
জনপ্রিয় বাংলা দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রণজিৎ মণ্ডল বলেছেন, ' তৃণমূলের বিধায়ক হিসাবেই রয়েছি। দলের কর্মসূচিও পালন করছি।' অন্যদিকে, 'দল ছাড়ার কথা' ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ,মধুরিমা মণ্জল থেকে দলের কো অর্ডিনেটর আনন্দময় অধিকারী। প্রসঙ্গত এঁরা শুভেন্দু শিবিরের লোক বলে বিবেচিত হয়েছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে শুভেন্দু শিবিরের কিছু তথ্য
পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি জানিয়েছেন, 'আমি দল বিরোধী কাজ করিনি। আর আমি শুভেন্দুর অনুগামী নই, শুভেন্দুর শুভানুধ্যায়ী'। অনেকেই বলছেন, দল আগে কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখে তারপর ইস্তফা। আবার অনেকের মতে , ইস্তফার প্রশ্ন কেন উঠছে! অন্য দলে গেলেও অধ্যক্ষ থাকার বার্তা দিয়েছেন অনেকেই।
কনিষ্ক শিবিরের বার্তা
এদিন নিমতৌড়িতে শুভেন্দুর সভার সময় পার্টি অফিস দখল ঘিরে উত্তজেনা ছড়ায়। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডা বলেন, আমাদের দখল মানুষের মনে। পার্টি অফিসের দখলে তাঁরা বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতা।