সড়ক পথে যাত্রীদের চাপ কমাতে উদ্যোগ মমতার সরকারের! এবার গঙ্গাবক্ষে চন্দননগর থেকে কলকাতা
সড়ক পথে যাত্রীদের চাপ কমাতে উদ্যোগ মমতার সরকারের! এবার গঙ্গাবক্ষে চন্দননগর থেকে কলকাতা
সড়ক পথে যাত্রীদের চাপ কমাতে উদ্যোগ নিল মমতার সরকার। এবার থেকে গঙ্গাবক্ষে আরামদায়ক যাত্রা করে চন্দননগর থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে চন্দননগর পৌঁছনো যাবে মাত্র দেড় ঘণ্টায়।
রাজ্যের পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের যানজট এড়াতে এবং সামান্য সংখ্যক বাসের যাত্রীদের হয়রানি কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। যার ফলে খুবই সহজে আরামদায়ক যাত্রার মাধ্যমে কলকাতা এবং হুগলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সপ্তাহে তিনদিন সোম, বুধবার ও শুক্রবার এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে পরিবহন দফতর সূত্রে। সকাল ৮ টায় চন্দননগরের রানীঘাট থেকে এই জলযান ছাড়বে, শেওড়াফুলি পৌঁছবে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে। মিনিট দশেকের মধ্যে অর্থাৎ ৮ টা ৪০ মিনিটে শ্রীরামপুর ও সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক জেটিতে পৌঁছবে।ফিরতি ওয়াটার বাস বিকেল ৪ টেয় মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছাড়বে। ভারাও সহজ সাধ্যের মধ্যে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই গঙ্গার দুপাশে পুরোনো ভগ্নপ্রায় ও জীর্ণ জেটিঘাট গুলোর সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যেখানে সম্ভব সেখানে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে সম্ভব নয় সেখানে আবার গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন জেটি। এছাড়াও নতুন জলযান কেনার জন্যও টেন্ডার ডাকা হয়েছে। তার পাশাপাশি জলপথ পরিবহনকে ঢেলে সাজাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত জলপথে আরামদায়ক যাত্রার ব্যবস্থা করা হয় রাজ্যের তরফে। যাতে যথেষ্ট সাড়া মিলেছে বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা। আর সে কারণেই এইরকম কঠিন সময়ে জল পথে যাত্রা কে গুরুত্ব দিয়ে এবং তা সুদুরপ্রসারী করে তুলতে নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই পরামর্শ মেনে গঙ্গার দু পারে সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি পুরনো জেটিগুলি যেমন সারানো হচ্ছে তেমনি নতুন জেটি তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগে জলপথকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে প্রথমবার কলকাতায় 'ওয়াটার বাস' পরিষেবা শুরু হলো।
আম্ফানের ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও গ্রামবাসীর