কোর কমান্ডার হিসাবে কাজ করার সময় সুব্রত সাহার কীর্তি গর্বিত করে, কিন্তু কোন অনুপ্রেরণাতে রাজনীতিতে তিনি?
কোর কমান্ডার হিসাবে কাজ করার সময় সুব্রত সাহার কীর্তি গর্বিত করে, কিন্তু কোন অনুপ্রেরণাতে রাজনীতিতে তিনি?
কার্যত মাস্টারস্ট্রোক অমিত শাহের। কলকাতার রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রে অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহাকে প্রার্থী করলেন শাহ-মোদীরা। এই মুহূর্তে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য তিনি। খুব শিঘ্রই কলকাতায় আসবেন তিনি। শুরু করবেন প্রচারও। কিন্তু কোনও দিনই জীবনে রাজনীতি করেননি তিনি। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী মোদীর অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন ভারতীয় সেনার প্রাক্তন এই অফিসার।
বাবার কাছ থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগের ইচ্ছা
সেনাবাহিনীতেই ছিলেন বাবা। ছোটবেলা থেকেই দেশের জন্যে কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। আর এসেই ইচ্ছাতেই যোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। বাবা যেহেতু সেনাবাহিনীতে ছিলেন তাই ছোটবেলা থেকেই বেড়ে ওঠা সেনা কায়দাতেই। ১৯৫৭ সালে ফোর্ট উইলিয়ামে জন্ম হয় তাঁর। পড়াশুনা পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুলে। যদিও সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর আসানসোলে ফিরে আসেন সুব্রত সাহার বাবা। সেখানে শুরু করেন ব্যবসা। পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুল থেকে পরে প্রাক্তন এই সেনা কর্তা পড়তে চলে আসেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকেই বসেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকেডেমির প্রবেশিকা পরীক্ষায়। পাশ করে ভর্তি হন পুণের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। তার পর বি-এসসি করেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৭ সালে। অতঃপর ১৯৮৯ সালে 'ইগনু' থেকে ম্যানেজমেন্টে ডিপ্লোমা। ২০১০ সালে পেনসিলভানিয়ার আর্মি ওয়ার কলেজ থেকে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স। ২০১১ সালে ইনদওরে ডিফেন্স ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে এম ফিল। দু'বছর পর মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফেন্স ও স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে এম-এসসি। ২০২০ সালে ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে পিএইচ ডি।
দীর্ঘদিন কাশ্মীরে কর্মরত ছিলেন
সেনাবাহিনীতে যোগদান। একের পর এক অপারেশন সফল। জঙ্গি দমনে কাশ্মীরে দীর্ঘদিন পোস্টিং ছিলেন। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার থাকার সময় জঙ্গি দমনে বাঙালি এই অফিসারের সাফল্য গর্বিত করে প্রত্যেক বাঙালিকে। কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন ২০১৩-'১৪ সময়সালে। সেই সময় সীমান্ত ও দেশরক্ষার কাজে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
জীবনে কোনও রাজনীতি করেননি
ছাত্র জীবনে সেনা স্কুলে পড়ার কারনে অনেক কড়া সিস্টেম বড়ো হওয়া। কোনও দিন রাজনীতি করার সুযোগ পাননি। এমনকি কর্মজীবনে তো কোনও দিনই ছিল না রাজনীতি করার। প্রাক্তন এই সেনা কর্তা বাংলা এক সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনাচিন্তাই তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, ''কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার থাকার সময় দেখেছি সন্ত্রাসবাদীরা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গে দেখছি একটি সংবিধান স্বীকৃত জাতীয় রাজনৈতিক দল (তৃণমূল) সেটাই করছে। তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলায় কিছুই হয়নি। সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি। আর সেটাই তাঁকে রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা যোগায় বলে দাবি অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল।
অনলাইন ট্রেডিংয়ের দুনিয়ায় নয়া দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই সংস্থা! হোলিতে রয়েছে একাধিক দুর্দান্ত অফার
অভিষেককেই কি মমতার পরবর্তী হিসেবে ভাবছে তৃণমূল? ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য ঘিরে বাড়ছে নতুন জল্পনা