শুভেন্দুকে কি চাইছেন না খোদ মমতাই! একুশের আগে অশনি সংকেত তৃণমূলে
শুভেন্দুকে কি চাইছেন না খোদ মমতাই! একুশের আগে অশনি সংকেত তৃণমূলে
শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জন কি তাহলে করা গেল না শতচেষ্টা করেও। সৌগত রায়ের সঙ্গে দু-দুবার বৈঠক করেও শুভেন্দুরে আটকানো গেল না। তিনি শেষপর্যন্ত মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন। তবে তিনি সাধারণ বিধায়ক হিসেবে থাকছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চাইছেন না শুভেন্দু থাকুল ২০২১-এর লড়াইয়ে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিলেন না
শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে বৈঠকের যে নির্যাস উঠে এসেছিল, তা রিপোর্ট আকারে দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছিলেন সৌগত রায়। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিলেন না। তারপর তিনি বাঁকুড়ায় জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগ শুভেন্দুর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি অবজার্ভার। এবং কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, সব খবর তাঁর কাছে আছে। এই বার্তার পরের দিনই তিনি এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর শুক্রবার তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি পদত্যাগ করেন।
মমতার বার্তার পর দুদিন ধরে চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত শুভেন্দুর
এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। বাঁকুড়ায় গিয়ে মমতার বার্তার পর দুদিন ধরে চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত নিলেন। শুভেন্দুকে ধরে রাখতে কালীঘাটে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তারপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু কারও ফোন ধরেননি। এতেই স্পষ্ট হয়েছে শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক শেষের পথে।
মমতাকে রিপোর্ট দেওয়ার পরও মানভঞ্জনে ব্যর্থ
সৌগত রায় বৈঠকের পরও শুভেন্দুকে নিয়ে জট এখনও কাটেনি। বৈঠকে অনেক কিছুই উঠে এসেছে। ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা হয়েছে। সবকিছুরই রিপোর্টই তিনি দেন নেত্রীকে। নেত্রীর নির্দেশ মতো বৈঠক হলেও, শুভেন্দু দুয়ার বন্ধ করে দেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তৃণমূলের দ্বিমুখী নীতিকে দায়ী করছে রাজনৈতিক মহল
শুভেন্দুর সঙ্গে সৌগতর বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার জন্য তৃণমূলের দ্বিমুখী নীতিকে দায়ী করছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, একদিকে শুভেন্দুকে নিয়ে নরম বার্তা দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রমুখ নেতা-নেত্রীরা। আর অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের এই নীতির সমালোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
মমতার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বৈঠক হল না
শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন যতদিন দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির রাশ ছিল, ততদিন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু বর্তমান প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে চালাচ্ছেন, তাতে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেই সমস্যা মেটানোর দাবি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। সৌগতর সেই চেষ্টার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যদি সক্রিয় হতেন, তাহলে বোধহয় শুভেন্দুকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হত না। কেননা শুভেন্দু জানিয়েছিলেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
শুভেন্দুর বিজেপি যোগ কি সময়ের অপেক্ষা! দিলীপ-কৈলাস দিলেন কোন বার্তা