বাঙালির মন জয়ে গেরুয়া শিবিরের 'বুদ্ধিজীবী সেল', একুশের আগে মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির
বাংলার মন জয় করতে বুদ্ধিজীবীদের ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি। আর সেই বুদ্ধিজীবী বাহিনীতে রয়েছে আআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়র, শিক্ষক, প্রফেসর, আইনজীবী, চিকিৎসক সহ একাধিক প্রফেশনাল। 'প্রফেশনালস ফর বেঙ্গল' নামক একটি সংগঠনের অধীনে এরা সবাই কাজ করে বাংলায় গেরুয়া ঝড় আনার রূপরেখা তৈরি করছে।
বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করার ভাবনা
অমিত শাহের বাংলা সফরের পরই বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করার ভাবনা নিয়ে মাঠে নামে বিজেপি। সমাজের বিশিষ্ঠজনদের নিয়ে অরাজনৈতিকভাবে রাজনৈতিক সচেতনতা প্রচার করতে চাইছে বিজেপি। বিরোধীদের দিকে আঙুল না তুলে মোদিজির নেতৃত্বে যে সাফল্য, জনহিতকর কাজ সেগুলিকে বেশি করে তুলে ধরা হবে এই সংগঠনের মাধ্যমে।
দায়িত্ব অনুপম হাজরার কাঁধে
অরাজনৈতিক মঞ্চের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনহিতকর কাজ নিয়ে সেমিনার করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। সরাসরি বিজেপির হয়ে মাঠে নেমে স্লোগান নয়, কিন্তু মানুষের মনে গেরুয়া বীজ পুঁতে দেওয়া। এই ধরণের প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব অনুপম হাজরার কাঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আলাদা হবে বিজেপির এই বুদ্ধিজীবীদের কমিটি
বিজেপির দাবি, তৃণমূল বা সিপিএমের বুদ্ধিজীবী সংগঠনের থেকে আলাদা হবে বিজেপির এই বুদ্ধিজীবীদের কমিটি। গতে বাঁধা রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না এই বুদ্ধিজীবীরা। পাশাপাশি বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির কমিটিতেও বুদ্ধিজীবীদের রাখা হবে। ২০ সদস্যের সেই কমিটি বাংলার মানুষের মন খতিয়ে দেখে তৈরি করবে ইস্তেহার।
'লক্ষ্য সোনার বাংলা'
ইতিমধ্যেই ময়দানে নামতে চলেছে বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেল। তৃণমূল রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা তৈরি হবে বিজেপি ক্ষমতায় এলে৷ এই নিয়ে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায় বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেল৷ তাই 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' নামে নতুন কর্মসূচি নিল বিজেপি।
৯৪টি বিধানসভায় ৫০ জন বুদ্ধিজীবী সদস্য সভা করবেন
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, শ্যামাপ্রসাদ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় এবং রন্তিদেব সেনগুপ্ত। সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বুধবার বলেন, ২৯৪টি বিধানসভায় ৫০ জন বুদ্ধিজীবী সদস্য সভা করে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তুলবে এই বিষয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা পুনরুদ্ধার করাই বিজেপির লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
কথা রাখছেন শুভেন্দু, শান্তিকুঞ্জের আরও এক অধিকারী যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে!