লকডাউন মানেননি মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা! পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তাঁরও,কথোপকথনের উল্লেখ দিলীপের
বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ত্রাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশকে রাস্তায় ধরে পেটানোর নিদান দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে নদিয়ায় তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা লকডাউন না মানেননি।
বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ত্রাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশকে রাস্তায় ধরে পেটানোর নিদান দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে নদিয়ায় তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা লকডাউন না মানেননি। তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।
নদিয়ায় তৃণমূলে ভাঙন! ১০০-র বেশি কর্মী, সমর্থকের যোগ কংগ্রেসে
জগন্নাথ সরকারকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কটাক্ষ
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, জগন্নাথ সরকারকে ডেকে সিআইডি চা খাওয়ায়। কিছুদিন তাঁকে না দেখলে সিআইডির মন খারাপ হয়ে যায়। দু-চার ঘন্টা বসেন, গল্প করেন। তাঁর সঙ্গে একই গল্প প্রতিদিন করা হয়।
বিজেপি সাংসদ, বিধায়ককে ত্রাণে পুলিশের বাধা নিয়ে প্রশ্ন
বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুশান্ত মজুমদারকে বারবার ত্রাণের কাজে বাধা দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক দুলাল বরের ক্ষেত্রেও তা করা হয়েছে। চেয়ে, চিন্তে, ভিক্ষা করে সাধারণ মানুষের জন্য ত্রিপল নিয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন। পুলিশ গাড়ি আটকে সেসব নামিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
পুলিশকে রাস্তায় ধরে পেটানোর নিদান
যেসব পুলিশ এধরনের কাজ করছে তাদের রাস্তায় ধরে পেটানো উচিত। মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, খেতে দিতে পারে না, ত্রিপল দিতে পারে না, জন প্রতিনিধিরা নিয়ে যাচ্ছে, ত্রাণ, তাও কেড়ে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার সম্পর্কে যতটা কম বলা যায়, ততটাই ভাল। দিলীপ ঘোষ বলেন, এই পুলিশই তাদের অফিসারদের পেটাচ্ছে, রাস্তা অবরোধ করছে, থানা ভাঙছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি বুঝতে পারবে এই সরকার।
পুলিশের সঙ্গে কথোপকথনের উল্লেখ়
রাস্তায় বেরনোর পর তাঁর গাড়িও আটকানো হয়েছিল, উল্লেখ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, প্রশ্ন করলে এসডিও, এসডিপিও, এএসপিরা বলেন, কী বলি বলুন তো। তাঁদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে গাড়ি আটকাতে। দিলীপ ঘোষ বলেন বিনা কারণে পুলিশকে বিড়ম্বনায় ফেলা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন মানা হয়নি
দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন মানা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মানেননি। তাঁর মন্ত্রীরাও মানেননি। তাঁদের অনুসরণ করে সাধারণ মানুষও মানেননি। তাই রাজ্যে করোনায় সংক্রমণ বেশি। মানুষকে বাঁচাতে লকডাউন জরুরি বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।