প্রতিবাদী ছাত্রীকে 'শহিদ' হওয়ার হুমকি, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর
আগেই বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। স্লোগান তুলেছিলেন তৃণমূল ১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ। সত্যিই ১৯-এ হাফ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ৪২-এর টার্গেট লড়াই করে ২২টি আসনে জিতেছে তৃণমূল।
বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা চলাকালীন শিক্ষার্থী হয়রানির ঘটনায় দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবাদী ছাত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শহিদ হওয়ার ইচ্ছা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেই ঘটনায় পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দিলীপ ঘোষের এই কদর্য মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় ওয়াকিবহাল মহল।
বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় একাকিনী-প্রতিবাদ
বৃহস্পতিবার পাটুলি থেকে বিজেপিকর্মীরা অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করেছিলেন। দিলীপ ঘোষ সেখানে উপস্থিত হন। তবে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশ সেই কারণে ব্যারিকেড রেখেছিল। পাটুলিতে সিএএ-র সমর্থনে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রার সময় রাস্তায় একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সংস্কৃত কলেজের শিক্ষার্থী সুদেষ্ণা দত্তগুপ্ত।
আপত্তিজনক ভাষায় আক্রমণ ছাত্রীর উদ্দেশ্যে
তাঁর হাতের পোস্টারে লেখা 'নো এনআরসি নো সিএএ'। এই পোস্টার নিয়ে একা দাঁড়িয়েছিলেন ছাত্রীটি। দিলীপ ঘোষ তা দেখে এড়িয়ে গেলেও বিজেপি সমর্থকরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, গেরুয়া পার্টির সমর্থকরা আপত্তিজনক ভাষায় আক্রমণ করেন ওই ছাত্রীর উদ্দেশ্যে। পোস্টারগুলি কেড়ে নেওয়া হয়। নোংরা-অশালীন মন্তব্য করা হয় তাঁকে নিয়ে। এই অবস্থায় সাংবাদিকরা ওই ছাত্রটিকে বিজেপি সমর্থকের রোষানল থেকে উদ্ধার করে।
|
দিলীপের নিশানায় ছাত্রী
পাটুলিতে সিএএর সমর্থনে বিজেপি-র অভিনন্দনযাত্রায় ছাত্রী হেনস্থায় ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই ছাত্রী আমাদের মিছিলের সামনে এসেছিল। আমরা তো শুধু প্ল্যাকার্ডটি কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। ওই ছাত্রীর চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য ভালো আমাদের ছেলেরা আর কিছুই করেনি। অনেকগুলি সার্কাস-বাগান রয়েছে ওই এলাকায়।
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরেই সমালোচনার ঝড়
এমন কদর্য কথা বলার পর তিনি আরও সাংঘাতিক মন্তব্য করেন। দিলীপ গোষ বলেন, আমাদের কর্মীদের কাছে কেন আসেন ওই ছাত্রী? খবর হতে নাকি শহিদ হতে? এমনটা আর করবেন না। আমি এই ধরনের ছেলেখেলা বেশি সহ্য করব না। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
দিলীপের মন্তব্যের জবাবে
তীব্র বিদ্রূপের সুরে সমালোচকরা বলেন, দিলীপ ঘোষ 'অন্য কিছু' বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন? সিপিএম-এসএফআই নেতৃত্ব বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। অন্যদিকে, এই হামলা প্রসঙ্গে প্রতিবাদী শিক্ষার্থী সুদেষ্ণা দত্তগুপ্তের স্পষ্ট বক্তব্য, "আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিই না। আসামের উপর এনআরসির প্রভাব দেখে আমি বিরোধিতা করেছি মাত্র।"