আচমকাই ইস্তফা দিলেন দিব্যেন্দু, রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনার পারদ চড়ল ফের
এই তো কিছুদিন আগেই তাঁকে ঘটাকে করে সংবর্ধিত করা হয়েছে। শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিল তিনি। কিন্তু হঠাৎ কী হল, চটজলদি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন তিনি।
এই তো কিছুদিন আগেই তাঁকে ঘটাকে করে সংবর্ধিত করা হয়েছে। শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিল তিনি। কিন্তু হঠাৎ কী হল, চটজলদি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন তিনি। রাজ্যে করোনাকালে নির্বাচনের দামাম বেজে গিয়েছে। তাঁর আগে আচমকাই এই ইস্তফা রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনার পারদ অনেক গুণ বাড়িয়ে দিল।
শনিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদে ঘটে গেল নীরব পদত্যাগের ঘটনা। কিছুদিন আগেই মধ্যশিক্ষা পর্যদের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়কে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। তারপর এমন কী হল তাঁকে অ্যাড হক কমিটি থেকে ইস্তফা দিতে হল। তা নিয়েই এখ জোর চর্চা চলছে শিক্ষা মহলে।
স্কুল শিক্ষা দফতর তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করে তাঁকে ওই পদ ও কমিটি থেকে মুক্ত করে দিয়েছে। দিব্যেন্দুবাবু তৃণমূল আমলে দীর্ঘদিন ওই পদে আসীন ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতি সভাপতি হিসেবে তিনি অ্যাড হক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব সামলাতেন, যেহেতু দীর্ঘদিন মধ্যশিক্ষা পর্যদের নির্বাচন হয়নি।
এবার শিক্ষক দিবসে অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে শিক্ষারত্ন দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু তা গ্রহণ করেও তিনি পরে তা ফিরিয়ে দেন। তাঁর যুক্তি ছিল, তিনি যেহেতু শাসকদলের শিক্ষক নেতা, তাই পুরস্কার তিনি গ্রহণ করলে সমালোচিত হতে পারেন। তাই এই পুরস্কার তিনি ফেরত দেন।
সেদিন পুরস্কার ফেরতের পর এদিনের ইস্তফার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে। সামনেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটি থেকে সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পদত্যাগ কেন তা নিয়ে উঠচে প্রশ্ন।