কসবা ভ্যাকসিন কাণ্ড, কোন ইঞ্জেকশন দিয়েছিল দেবাঞ্জন দেব জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট
কসবা ভ্যাকসিন কাণ্ড, কোন ইঞ্জেকশন দিয়েছিল দেবাঞ্জন দেব জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট
আরও পোক্ত হল প্রমাণ। সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়ে দিল কসবায় দেবাঞ্জন দেবের ভ্যাকসিন ক্যাম্পে কোভিশিল্ড ব্যবহার করা হয়নি। আগে থেকেই সন্দেহ করা হয়েছিল যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল সেগুলি করোনা টিকা নয়। কিন্তু পোক্ত প্রমাণের অপেক্ষায় ছিল পুিলশ এবং পুরসভা। সেকারণে নমুনা পাঠানো হয়েছিল সিরাম ইনস্টিটিউটে। তারপরেই তাঁদের পক্ষ থেেক নিশ্চিত করা হয় দেবাঞ্জন দেবের টিকা শিবিরে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়নি।
সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে লালবাজারে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে দেবাঞ্জন দেবের টিকা শিবিরের যে ইঞ্জেকশনগুলির নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে লেবেলে কোভিশিল্ড লেখা থাকলেএ ভেতরে কোভিশিল্ড ছিল না। অর্থাৎ করোনা টিকা ছিল না। কাজেই তারপরেই আতঙ্কে রয়েছেন দেবাঞ্জন দেবের টিকা শিবির থেকে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তাঁরা।
কসবায় দেবাঞ্জন দেবের ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। তিনিই উদ্বোধন করেছিলেন সেটি। তারপরে রেজিস্ট্রেশন না আসায় তিনিই প্রথম এই নিয়ে পুরসভাকে জানিয়েছিলেন। তারপরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারেন জালিয়াতিক জাল কতদূর ছড়ানো হয়েছিল। পুরসভার ভুয়ো কমিশনার সেজে কখনওআবার ভুয়ো আইএএস েসজে একের পর এক প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন দেবাঞ্জন দেব। একে একে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে দেবাঞ্জন দেবের কীর্তি। শুধু কসবা নয় সিটি কলেজেও করোনা টিকাকরণ ক্যাম্প করেছিল দেবাঞ্জন দেব। এবং নিজেকে কলকাতা পুরসভার পরিচয় দিয়ে ইনজেকশন কিনেছিলেন তিনি।