তৃণমূলকে দুভাগে ভাগ করে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা, বিস্ফোরক মন্তব্যে কী বলতে চাইলেন দেবাংশু
তৃণমূলকে দুভাগে ভাগ করে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা, বিস্ফোরক মন্তব্যে কী বলতে চাইলেন দেবাংশু
তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্তির আগের দিনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি যেভাবে তৃণমূল সরকরারে প্রথম ১০ বছর আর সংযুক্ত এক বছরের ব্যাখ্যা করেছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলকে তিনি ১০ বছর আর এক বছর দিয়ে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন।
বিতর্কিত মন্তব্যে বিস্ফোরণ ঘটালেন দেবাংশু
তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে সোমবার। ২০১১ সালের ২ মে প্রথম তৃণমূল সরকার গঠন হয়েছিল। রাজ্যে এসেছিল পরিবর্তন। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ১১ বছর। ২০২২ সালের ২ মে তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তার আগের দিনই বিতর্কিত মন্তব্য করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিলেন।
ধান্দাবাজ, কৃত্রিম তৃণমূল মাত্র এক বছরে!
তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, গত বছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটা ছিল নিষ্কলুষ। সেই তৃণমূল ছিল ধান্দাবাজহীন, অকৃত্রিম ও প্রকৃত তৃণমূল। তারপর তো বন্যা এল। গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার। তিনি তাঁর এই কথায় বুঝিয়ে দেন, পরের এক বছর অর্থাৎ ২০২১-এর ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে আজ পর্যন্ত ধান্দাবাজ, কৃত্রিম তৃণমূলে ছেয়ে গিয়েছে দল।
ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক দেবাংশু
দেবাংশু ভট্টাচার্য আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে। তাই সেই ফিল্টারে তৃণমূল ছেঁকে নিতে পারছে কে প্রকৃত তৃণমূল আর কে কৃত্রিম। যাঁরা কৃত্রিম তাঁরা পিছনের সারিতেই থাকবেন। এদিন ফেসবুক পোস্টে এমনই বিস্ফোরক বার্তা দেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য।
কাদের নিশানা করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য
দেবাংশুর এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কাদের নিশানা করতে চেয়েছেন। ২০২১-এর পর যাঁরা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন, যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরকেই নিশানা করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। ২০২১-এর নির্বাচনের আগে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে আগেও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন দেবাংশু। ফের একবার তিনি এই বিষয়ে সরব হলেন।
১১ বছরকে দুভাগে ভাগ করে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা
একুশের নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে বহু নেতা চলে যাওয়ার পর দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেছিলেন, আর তাঁদের দলে ফেরানো হবে না। তিনি তৃণমূলের দরজা আটকে শুয়ে থাকবেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু একুশের নির্বাচনের পর দেখা গিয়েছে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হয়েছে বহু দলত্যাগীর। তিনি দ্বার আটকে রাখতে পারেননি। এখন তিনি সরকারের ১১ বছরকে দুভাগে ভাগ করে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল।
এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দেবাংশু অবশ্য পরে এই পোস্ট ডিলিট করে লিখেছেন,, শেষ পোস্টের অর্থ হয়তো ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণ বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। কারণ এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শ্রমিক নয় 'সাথী', মে দিবসের শুভেচ্ছায় টুইটে লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী