সূচকাণ্ডে সনাতন ঠাকুরের পুলিশি হেফাজত, তদন্ত কমিটিরও জেরা, কী তথ্য পুলিশের হাতে
উত্তরপ্রদেশের পিপড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সনাতন ঠাকুরকে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে মঙ্গলবার রাতেই আসানসোল আনা হয়েছিল। এদিন পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয় সনাতনকে।
পুরুলিয়ার শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন ও সুচ ফুটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুরকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারক সুযশা মুখোপাধ্যায় সনাতনকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। সূচকাণ্ডে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তাকে জেরা করবে। শুধু পুলিশই নয়, তাকে জেরা করবে সামাজিক তদন্ত কমিটিও।
এদিন সূচকাণ্ডে অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুরকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। সেই সময় আদালত চত্বর রূপ নেয় দুর্গের। সনাতনের কঠোর শাস্তির দাবিতে আদালতের বাইরে তখন হাজারও মানুষের ভিড়। তাঁরা সনাতনের ফাঁসির দাবিতে সরব হন।
উত্তরপ্রদেশের পিপড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সনাতন ঠাকুরকে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে মঙ্গলবার রাতেই আসানসোল আনা হয়েছিল। এদিন পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। আদালতে তোলার সময় উত্তেজিত জনতা সনাতনের উপর চড়াও হতে পারে এমন আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কা থেকে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখেনি পুলিশ।
আদালত চত্বর দুর্গে পরিণত। কোনও মাছি গলবার জায়গাও রাখেনি পুলিশ। সেইসঙ্গে পুলিশ মনে করছে, সনাতনকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। তাই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় পুলিশ। আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
এদিকে সনাতন ঠাকুর দাবি করে, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তারা পুত্রবধূই শিশুটির শরীরের সূচবিদ্ধ করেছে। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। এমনকী সনাতন ঠাকুর দাবি করেন, নির্যাতিতা শিশুটির মা তার স্ত্রী। স্বামী পরিত্যক্তা মঙ্গলাকে সে বিয়ে করে বলে দাবি সনাতনের। তবে সনাতনের এই বক্তব্যের মধ্যে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলে মনে করছে।