এই সমস্ত রাজ্যগুলি থেকে বাংলায় আসতে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করল নবান্ন
এই সমস্ত রাজ্যগুলি থেকে বাংলায় আসতে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করল নবান্ন
পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিল হয়ে উঠেছে। দৈনিক করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। গোটা দেশে সংক্রমণ লক্ষাধিকেরও বেশি। মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যের অবস্থা কাজত ভয়ঙ্কর। কয়েক হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কার্যত একই ছবি বাংলাতেও। প্রায় ১৩ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় একাধিক রাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের।
টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করল রাজ্য
করোনাতে বিধ্বস্ত রাজ্যগুলিতে কলকাতায় আসতে হলে আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার। বিমান পথে আসার ক্ষেত্রে এই রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নবান্নের তরফে এ দিন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককেও বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
কি বলা হয়েছে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে
নবান্নের
তরফে
নতুন
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা
হয়েছে,
যে
সমস্ত
বিমান
যাত্রীরা
উত্তর
প্রদেশ,
মধ্যপ্রদেশ,
গুজরাট
এবং
ছত্তীসগঢ়
থেকে
বাংলায়
আসবেন,
তাঁদের
আরটিপিআর
নেগেটিভ
রিপোর্ট
বাধ্যতামূলক
থাকা
দরকার।
আগামী
২৬
এপ্রিল
বেলা
১২
টা
থেকে
কার্যকর
হচ্ছে
এই
নিয়ম।
রাজ্যের
পক্ষ
থেকে
জানানো
হয়েছে,
বিমানে
সওয়ার
হওয়ার
কমপক্ষে
৭২
ঘণ্টার
আগের
নেগেটিভ
রিপোর্ট
সঙ্গে
রাখতে
হবে।
যদি
কারোর
রিপোর্ট
পজিটিভ
থাকে,
সে
ক্ষেত্রে
বিমানে
চাপতে
দেওয়া
হবে
না।
প্রসঙ্গত,
এর
আগে
মহারাষ্ট্র,
কেরল,
কর্নাটক
তেলেঙ্গানা
থেকে
বিমানে
আসা
যাত্রীদের
ক্ষেত্রেও
এখই
নিয়ম
কার্যকর
করা
হয়েছিল।
এ
বার
করোনায়
বিপর্যস্ত
বাকি
রাজ্যগুলির
ক্ষেত্রেও
সেই
নিয়ম
জারি
করা
হল।
ট্রেনে বাসে আসা যাত্রীদের নিয়ে চিন্তা
দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার সেকেন্ড ঢেউ। ঢেউয়ে কার্যত বেসামাল দেশ। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। কিন্তু এখনও লকডাউনের পক্ষে নয় কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে লকডাউন একেবারে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে আবেদন করেন। ফলে ট্রেন, বাস সবই চলছে। একাধিক বহু দুরপাল্লার ট্রেন চলছে, চলছে দুরপাল্লার বাসগুলিও। বাস, ট্রেনে করে বহু মানুষ বাংলাতে আসছে। করোনা নিয়ে কারা ঢুকছে, তাঁদের তথ্য কি তা নিয়ে একটা উদ্বেগ রয়েছে।
২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৩ হাজার
স্বাস্থ্য দফতরের নয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস নতুন করে থাবা বসিয়েছে মোট ১২,৮৭৬ জনের শরীরে। মারণ জীবাণুর বলি হয়েছেন ৫৯ জন। অনেকটা কমেছে সুস্থতার হার। মাত্র ৮৮.০১ শতাংশ। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ২৮৩০। এরপরই কোভিড গ্রাফে উত্তর ২৪ পরগনার স্থান। এখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৮৫। এর মধ্যে বিধাননগরেও বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যুতে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্যমহলে।
বাংলাতেও করোনার গ্রাফ আকাশ ছুঁতে চলেছে, দৈনিক সংক্রমণ ও সক্রিয় লাগামছাড়া