করোনার গ্রাসে ফাঁকা ফলের বাজার, বিকিকিনিতে হাতে ছেঁকা লাগছে মধ্যবিত্ত আমজনতার
করোনার গ্রাসে ফাঁকা ফলের বাজার, বিকিকিনিতে হাতে ছেঁকা লাগছে মধ্যবিত্ত আমজনতার
রমজান মাসে পুরোপুরির ফাঁকা ফলের বাজার। কোনও কোনও জায়গায় খরিদ্দারের সংখ্যা সামান্য কিছু থাকলেও ফলে হাত দিতেই একা লাগছে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একেবারেই বিক্রি বাটায় ভাঁটা। অন্যদিকে ফল ছাড়া রমজান মাসের রোজা রাখা দুর্বিষহ।
কিন্তু সেই ফল কিনতে নাভিশ্বাস বেরিয়ে আসছে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের।উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, ও কলকাতার মধ্যাঞ্চল। বড় বড় বাজার গুলোতে ফলের বাজার সকাল থেকেই খুলেছে। হরেক রকমের ফলের সম্ভার নিয়ে বসেছেন ফল ব্যাবসায়ীরা। তবে খদ্দের একেবারে নেই বললেই চলে। পার্শ্ববর্তী হাওড়া সহ ২৪ পরগনার মতো জেলাতেও একই অবস্থা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন জারি রয়েছে গোটা দেশে।
বন্ধ
ভিন
রাজ্যের
ট্রাক
চলাচল।
সে
কারণেই
অধিকাংশ
বাইরে
থেকে
আসা
ফল
ঢুকছে
না
এরাজ্যে।
আমদানি
ও
রপ্তানি
বন্ধ
রয়েছে
এক
প্রকার।
যদিও
বা
কোন
কোন
ফলের
গাড়ি
আসছে,
তবুও
সাধারণ
সময়ের
তুলনায়
ব্যয়বহুল।
তাই
ক্রমশ
ঊর্ধ্বমুখী
ফলের
দাম।
আর
এর
জেরেই
জেরে
রমজান
মাসে
ব্যাপক
সমস্যায়
পড়েছেন
খুচরো
ক্রেতা-বিক্রেতা
দু'পক্ষই।
শনিবার
থেকেই
শুরু
হয়েছে
রমজান
মাস।
অন্যদিকে টানা একমাস কর্মহীন হয়ে ঘরে পড়ে আছে সরকারি কর্মচারী ছাড়া বাকি অধিকাংশ ব্যবসায়ী থেকে দিনমজুর, রিক্সাঅলা ঠেলাঅলা, বাস ড্রাইভার বা অন্যান্য পেশার মানুষজন। তাই রমজান মাসে হাত পুরোপুরি ফাঁকা। অন্যদিকে, রমজান মাসের গোড়াতেই আচমকা ফলের এতখানি দাম বৃদ্ধি।
সাধারণ মানুষ কি খাবে তার ঠিক নেই, সাধারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের রমজান মাস পালন করবে কিভাবে ? তাঁদের মতে, প্রতি বছর যে কয়েকটা বিশেষ অনুষ্ঠানে ফলের দাম বৃদ্ধি পেলেও তার যোগান দেওয়া সম্ভব কিন্তু এবার রমজান মাসে তার সাধ্য নেই। তাই রমজান মাসে ইফতারে ফলের জোগান দিতে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হচ্ছে আর্থিকভাবে দুর্বল ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে।
শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই নন, ফলের উপর নির্ভরশীল বহু রোগী ও শিশুরাও। তাই সাধারণ মানুষের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেও ফলের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকলেও রমজান মাস শুরু হতে না হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে দাম। ব্যাবসায়ীরা হরেক রকমের ফলও তুলেছেন। তবে এইরকম চললে রমজান মাসে ফল বিক্রী লাটে উঠবে বলে জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। এবার লকডাউনে ব্যাবসা একেবারেই মন্দা। রমজানে যদি ব্যাবসা নাহয়, তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধাকার বলে জানিয়েছেন ফল ব্যাবসায়ীরা।