৪ বছর নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছেন বুদ্ধবাবু, করোনা লকডাউনে রাজ্যবাসীকে স্মরণ করালেন মহম্মদ সেলিম
৪ বছর নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছেন বুদ্ধবাবু, করোনা লকডাউনে রাজ্যবাসীকে স্মরণ করালেন মহম্মদ সেলিম
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। তাতেই নাভিঃশ্বাস উঠেছে রাজ্যবাসীর। ধৈর্য হারিয়ে লকডাউন উপেক্ষা করেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম পুলিসও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে একজনের কথা মনে করিয়ে দিলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলা ভাল বামফ্রন্ট সরকারের শেষ মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ ৪ বছর নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছেন তিনি। আবাসনের ২ কামরার ফ্ল্যাটের বাইরে বেরনো তো দূরের কথা সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখেননি তিনি।
কীভাবে সময়কাটান বুদ্ধবাবু
২০১৭ সাল থেকেই নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিছুটা শারীরিক অসুস্থতা আর িকছুটা অভিমান। যার জেরে এই সিদ্ধান্ত। যদিও অধিকাংশের মতে শারীরিক অসুস্থকার কারণেই নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পাম অ্যাভিনিউয়ের চারদেওয়ালের ঘরে কিন্তু চার বছরেও ধৈর্য হারা হননি তিনি। নিজের সবচেয়ে ভাল লাগার জিনিস বইপড়ায় মন দিয়েছেন। লিখে ফেলেছেন তিন তিনটে বই। এখন দৃষ্টিও নেই বই পড়ার অভ্যাসটাও ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। ২০১৮ সালের ব্রিডেগের জমায়েতে কয়েক ঝলক দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেটাই বোধ হয় গত কয়েক বছরে শেষ তাঁর প্রকাশ্যে আসা। পাম অ্যাভিনিউর চার দেওয়ালেই কাটছে তাঁর জীবন।
২১ দিনের লকডাউনে ধৈর্য হারাচ্ছেন
২১ দিন ঘরবন্দি থাকতে যাঁদের নাভিঃশ্বাস উঠছে। ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন তাঁদের বুদ্ধবাবুর কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি যদি ৪ বছর নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখতে পারেন, তাহরে ২১ দিন তো নগন্য। টুইটে এমনই লিখেছেন মহম্মদ সেলিম। বই পড়ার অদম্য নেশা শারীরিত অসুস্থকেও হার মানিয়েছে। কোন লেখন নতুন কী বই লিখলেন সব কিছুর খবর রাখেন বুদ্ধবাবু। খবর রাখেন রাজ্য রাজনীতিরও।
লকডাউন নিয়ে মোদীর বার্তা
লকডাউন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন তার সমালোচনা করেছেন বামেরা। সিপিএমে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কটাক্ষ করে টুইটে লিখেছেন, সরকার সার্কাস করছে। এলে আরও লকডাউন ভাঙবে। বাজারে মোমবাতি কেনার হুড়োহুড়ি পড়বে। অন্যদিকে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী মোদীর এই বার্তাকে গিমিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।