তৃণমূল-বিজেপির রাতের ঘুম কাড়তে কৌশল বদল বাম-কংগ্রেসের, দলবদলুদের ফেরানোর উদ্যোগ
২০১৬ বিপুল আসন নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরেছিল ঠিকই। কিন্তু ভোটের আগে তৃণমূলের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। হাওয়া উঠে গিয়েছিল পাঁচ বছরেই বোধহয় মমতা শাসনের সমাপ্তি।
২০১৬ বিপুল আসন নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরেছিল ঠিকই। কিন্তু ভোটের আগে তৃণমূলের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। হাওয়া উঠে গিয়েছিল পাঁচ বছরেই বোধহয় মমতা শাসনের সমাপ্তি। কিন্তু আদতে তা হয়নি। মমতা বন্যো পাধ্যায় বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। আবারও সেই হাওয়া তুলতে মঞ্চ গড়ার ভাবনা বাম-কংগ্রেসে।
দলবদলুদের ফিরিয়ে আনতে
২০১৬-য় বাম-কংগ্রেস বিরোধী আসনে বসেছিল বাংলার বিধানসভায়। কিন্তু এই পাঁচ বছরের দুই দলেরই শক্তি কমেছে বিধানসভায়। প্রদান বিরোধী কংগ্রেস তো ৪৪ থেকে কমতে কমতে নেমে এসেছে একেবারে ২৫-এ। আর সিপিএম কমে দাঁড়িয়ে ৩৩ থেকে ২৬-এ। এই অবস্থায় দুই দলই চাইছে দলবদলুদের ফের ফিরিয়ে আনতে।
নয়া ভাবনা বাম-কংগ্রেসের অন্দরে
সেইজন্য বাম-কংগ্রেস একটি যৌথ মঞ্চ গড়তে উদ্যোগ নিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বিধায়কদের অনেকের প্রবণতা ছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখানোর। ২০১৯-এর লোকসভার পরে তা ঘুরে গিয়েছিল বিজেপিতে। কিন্তু এখন দুই দলের প্রতি অনেকেই বীতশ্রদ্ধ। তাঁদের ফিরিয়ে আনতেই নয়া ভাবনা বাম-কংগ্রেসের অন্দরে।
নিচুতলার অনেকের মধ্যেও বাম-কংগ্রেসে ফেরার প্রবণতা
করোনা ও আম্ফান পরবর্তী সময়ে শুধু উপরতলায় নয়, নিচুতলার অনেকের মধ্যেও বাম-কংগ্রেসে ফেরার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি জেলায় বাম-কংগ্রেসে ফিরে আসছেন অনেকে। প্রায় সমস্ত জেলাতেই বাম ও কংগ্রেস ফের সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে। এই আশার আলো দেখেই নেতৃত্ব এবার অন্য কিছু ভাবতে চাইছে।
দলত্যাগীদের ফেরাতে মঞ্চ গড়তে উদ্যোগ
বাম ও কংগ্রেসে নেতৃত্বের একাংশ মনে করছে দলত্যাগীদের ফেরাতে কোনও দলের পতাকা নয়, গড়ে তোলা উটিত একটি মঞ্চ। তাহলে অনেকেই সেই মঞ্চে আসতে পারে। মঞ্চের পরিধিও বাড়বে স্বাড়ম্বরে। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূল বা বিজেপিতে যাওয়া এমন অন্তত ২০ জন বিধায়ক রয়েছেন।
পুরনো দলে ফিরতে দোলাচলে বিধায়করা
এঁদের অনেকেই নতুন দলে গিয়ে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। তাঁরা আদৌ টিকিট পাবেন কি না সন্দেহ। আবার পুরনো দলে ফিরলেও তাঁরা গুরুত্ব ফিরে পাবেন কি না নিশ্চিত নয়, পুরনো দলে ফিরে জয়ও তাঁদের নিশ্চিত নয়। এই দোলাচলের মধ্যে তাঁদের স্থিরতা দিতে পারে একমাত্র কোনও মঞ্চ। অনেক তৃণমূল-বিজেপি নেতাও এই মঞ্চে যোগ দিতে পারেন কোনও দলে না গিয়ে।