'বেলুড়মঠে আসা আমার জন্যে বাড়ি ফেরার মতো', বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
'বেলুড়মঠে আসতে পারা যে কোনও মানুষের জন্যে তীর্থ যাত্রার থেকে কম নয়। তবে আমার কাছে এখানে আসা বাড়িতে ফেরার মতো।' আজ কলকাতা সফরের দ্বিতীয় দিনে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বেলুড়মঠে বক্তৃতা রাখার সময় এমন কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'বিবেকানন্দজির বাণী ও ব্যক্তিত্ব আমার মতো আরও বহু মানুষকে এখানে টেনে নিয়ে আসে। এই ভূমিতে এলে সারদা মায়ের আঁচল এই ভূমিতে থেকে যাওয়ার জন্যে থেকে যেতে বলে।'
রাতে বেলুড়মঠে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদীর এই সফর ঘিরে বিরোধীদের বিক্ষোভে শনিবার শহর জুড়ে উত্তাল পরিস্থিতির তৈরি হয়। তবে সেসব উপেক্ষা করেই নরেন্দ্র মোদী তার সফর জারি রেখেছেন। এদিকে রাজভবনে রাত কাটানোর কথা থাকলেও বেলুড়মঠে থাকা স্থির করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বিষয়ে আজ বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'গতরাতে আমাকে এখানে থাকতে দেওয়ার জন্যে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ যানাতে চাই। পাশাপাশি আমি সরকারকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। সরকারের অনেক প্রোটোকল থাকা সত্ত্বেও আমার ইচ্ছা অনুসারে আমাকে থআকতে দেওয়ার জন্যে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'
আত্মস্থনানন্দজিকে তাঁর জীবনের সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী
এদিকে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বামী আত্মস্থনানন্দজিকে তাঁর জীবনের সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাঁর জন্যেই আমি ১৩০ কোটি ভারতবাসীর সেবায় নিজেকে নিবেদন করতে পেরেছিলাম। গতবার যখন আমি এসেছিলাম তখন স্বামী আত্মস্থনান্দজির আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছিলাম। এবার তিনি নেই। কিন্তু আমার বিশ্বাস যে আমার উপর তাঁর আশীর্বাদ সর্বদা থাকবে।'
স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন ...
এরপর স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'স্বামী বিবেকানন্দ কেবল একজন মহান ব্যক্তি বা সন্যাসী ছিলেন না। তিনি এক জীবন ধারা ছিলেন। তিনি তাঁর সময়কালে গরিব মানুষের জন্যে কল্যাণমূলক কাজ করেছেন। আজও তাঁর অনুপ্রেরণায় মানুষ বাঁচার উর্জা খুঁজে পায়। আজও দেশের যুব সমাজ তাঁর থেকে অনুপ্রেরণা পায়।'
স্বামীজি থেকে শিক্ষা পাই
এরপর তিনি বলেন, 'মাঝে মাঝে মনে হয়, যে আমি একা এই কাজ করে কী করব। আমার কথা কেউ শোনে না, কেউ আমল দেয় না। কিন্তু তখন আমার গুরুজনদের থেকে পাওয়া শিক্ষা মনে পরে যায়। আমরা কখনই একা থাকি না। আমাদের ঈশ্বর সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকে। স্বামীজি বলতেন, আমি যদি ১০০ জন তেজস্বী যুবক পেয়ে যাই তবে আমি ভারতকে বদলে দেব। এটি আমাদের মনে রাখতে হবে। ভারতেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, কিছু করে দেখানোর জন্যে আমাদের তেজ ও করে দেখানোর যোশ দরকার।'
'ভারতকে আরও এগিয়ে যাব'
এরপর বক্তৃতা শেষ করার আগে তিনি বলেন, 'আমি আজ সকালবেলা স্বামী বিবেকানন্দের ঘরে গিয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। আমার সেই ঘরে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল যে তিনি আমাকে আরও বেশি কাজ করার জন্যে বলছেন। আশীর্বাদ দিচ্ছেন। আমি সেই আশীর্বাদ নিয়েই আমি ভারতকে আরও এগিয়ে যাব। স্বামীজি বলতেন ভারত মাকে নিজের মা হিসাবে দেখ। আমিও দেশের যুব সমাজকে এই আহ্বান করছি।'