বিজেপি নেতাকে ফোন তৃণমূল সাংসদের! মমতা খোঁজ নিতেই নিজের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রবীর
বাংলার নির্বাচনে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। তৃণমূল থেকে আসা একাধিক নেতা ভোটে হেরে গিয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর ঘোষাল। ভোট হেরে যাওয়ার পর থেকেই আর দেখা নেই তাঁর। সেভাবে বিজেপিমুখী হননি তিনি।
বাংলার নির্বাচনে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। তৃণমূল থেকে আসা একাধিক নেতা ভোটে হেরে গিয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর ঘোষাল। ভোট হেরে যাওয়ার পর থেকেই আর দেখা নেই তাঁর। সেভাবে বিজেপিমুখী হননি তিনি।
ঘনিষ্ঠমহলে প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ভাবে আর কোনও দলের সঙ্গেই তিনি আর যুক্ত থাকতে চান না। এই অবস্থায় এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন উত্তরপাড়ার প্রাক্তন এই বিধায়ক। বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তিনি যে ক্ষুব্ধ তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন তিনি।
আঁতে ঘা লেগেছে!
সম্প্রতি মা প্রয়াত হওয়ার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনও রকম খোঁজ খবর না নেওয়ায় কিছুটা খারাপই লেগেছে তাঁর। উল্টে মন ছুঁয়েছে রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষ হলেও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সৌজন্য। খোঁজ নিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু রাজ্য বিজেপির তরফে কেউ সমবেদনাটুকু জানাননি। আর তাতেই আঁতে ঘা লেগেছে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের।
তৃণমূল সাংসদের ফোন বিজেপি নেতাকে!
ভোটের পর থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন প্রবীর ঘোষাল। কিন্তু আঁতে ঘা লাগতেই মুখ খুললেন তিনি। বলেন, "আমার মাতৃ বিয়োগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমার সঙ্গে এলাকার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক যোগাযোগ করেছিলেন। ফোনে সমবেদনা জানিয়ে ছিলেন। শুধু তাই নয়, উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের নেতারাও বাড়িতে এসেছেন, শ্মশানে গিয়েছেন। এমনকী শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খবর পাওয়ার পর শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। আর তাতেই আপ্লুত তিনি। তবে বিজেপির যাঁরা সহানুভূতি জানিয়েছেন সকলে আমার এলাকারই। এর বাইরে কেউ ফোন করে সমবেদননা জানায়নি বলে আক্ষেপ তাঁর। অথচ ৩০ বছর আগে যখন বাবাকে হারিয়েছিলাম তপন শিকদাররা আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তৃণমূল আমার তো এখন দল নয়। ওই দলে ছিলাম। কিন্তু তারা যা করল মর্মস্পর্শী। স্বভাবতই তাঁর নিশানায় যে দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভোটের আগেই দল ছাড়েন প্রবীর!
ফল প্রকাশের পরেই বিজেপিতে গিয়ে ফের তৃণমূলের জন্য নরম সুর শোনা যাচ্ছে একাধিক নেতার গলায়। এ তালিকায় সোনালী গুহ, অমল আচার্য, দীপেন্দু বিশ্বাস, সরলা মুর্মু, শুভ্রাংশু রায়ের পর এবার উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের নামও। সম্প্রতি প্রবীর ঘোষালের মাতৃবিয়োগ হয়েছে। তারপরই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও উত্তরপাড়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর খোঁজ নেন। বাড়িতেও গিয়েছেন পুরনো সতীর্থরা। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও সমবেদনা জানিয়েছেন। এরপরেই উলাটপুরাণ।