কেন্দ্র বিরোধী ধর্মঘট সফল, দাবি বাম, কংগ্রেসের! মুখ্যমন্ত্রীর জানালেন নিজের অবস্থান
কেন্দ্র বিরোধী ধর্মঘট সফল, দাবি বাম, কংগ্রেসের! মুখ্যমন্ত্রীর জানালেন নিজের অবস্থান
এদিন দিনের শেষে ধর্মঘট সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাম, কংগ্রেস নেতৃত্ব। অন্যদিকে, নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বলেছেন, নীতিগতভাবে তিনি ইস্যুগুলিকে মানেন। তবে তিনি ধর্মঘটের বিরোধী বলে জানিয়ে দেন।
যেসব ইস্যুতে ধর্মঘট
কেন্দ্রের জনবিরোধী আর্থিক নীতি, কৃষি আইন, শ্রমিক বিরোধী নতুন শ্রম আইন সংসদে পাস করানোর প্রতিবাদে ৭ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাম, কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
ধর্মঘট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নীতিগতভাবে তিনি শ্রমিকস্বার্থে লড়াইকে সমর্থন করেন। ধর্মঘটের ইস্যুগুলিকে মানেন। কিন্তু ধর্মঘটকে সমর্থন করেন না।
ধর্মঘট নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান
বাম, কংগ্রেসের ধর্মঘটের দাবিগুলি নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিন ধর্মঘট ব্যর্থ করতে তৃণমূলকে পথে নামতে দেখা যায়নি। তবে ধর্মঘটের ইস্যুগুলির সমর্থনে বেশ কয়েক জায়গায় তৃণমূলকে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। যেমনটি হয়েছে হাওড়া ময়দানে। কৃষি বিলের বিরোধিতায় পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, করোনা অতিমারির জেরে অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে আরও একটি কর্মদিবস নষ্ট হোক তা তৃণমূল চায় না। কিন্তু যেসব ইস্যুতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, সেগুলিকে তারা সমর্থন করেন। ইস্যুর সমর্থনে তারা রাস্তায় নামবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
ধর্মঘট নিয়ে প্রশাসনের অবস্থান
এদিন ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে সকাল থেকেই পুলিশের সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। দুর্গাপুর স্টেশনে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটীদের বচসা হয়। পুলিশ ও ধর্মঘটীদের ধস্তাধস্তি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরে। অনেক জায়গাতেই পুলিশ লাঠি চালিয়ে ধর্মঘটের সমর্থকদের হঠিয়ে দেয়। তবে অন্যবারে ধর্মঘট ব্যর্থ করতে পুলিশ যেভাবে সক্রিয় থাকে এবার তাদের সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। সরকারি বাস পথে নামলেও বেসরকারি বাস পথে নামাতে প্রশাসনকে ততটা সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি।
তৃণমূলের অবস্থানকে কটাক্ষ বাম কংগ্রেসের
এদিকে ধর্মঘট নিয়ে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের অবস্থানকে কটাক্ষ করেছে বাম কংগ্রেস নেতৃত্ব। সকালেই এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, যেসব ইস্যুতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তা শুধু কেন্দ্রের নয়, রাজ্যেরও বিষয় ছিল। তাই এব্যাপারে ধর্মঘটের ইস্যুকে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম, কংগ্রেস।
ধর্মঘটকে দেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী বলে বর্ণনা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এদিনের ধর্মঘটকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ধার্মিক দেশে ধর্মঘট নেই। ধর্ম আছে কিন্তু ঘট নেই।
নাটক করছে বিজেপি, পুলিসকে গিয়ে বলছেন আমায় গ্রেফতার করুন, কৈলাসকে নিয়ে কটাক্ষ মমতার