CAA:বাংলায় শুক্রবার যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে তৎপর প্রশাসন, কোন নির্দেশ নবান্নের!
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই বাংলার একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে চরম অশান্তি। একের পর এক বাস থেকে ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে গিয়েছে বাংলায়। আর তারপর থেকেই প্রশাসনিক স্তরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। শান্তির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার কোনও অশান্তি যাতে না ঘটে তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।

গত শুক্রবার রাত থেকে ছড়িয়েছিল বিক্ষোভের আগুন
প্রসঙ্গত, হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত একাধিক জায়গায় গত শুক্রবার ছড়িয়েছিল বিক্ষোভের আগুন। আর আজ আরও একটি শুক্রবার। এদিন যাতে কোনও মতেই কোনও অশান্তি না ঘটে তার জন্য নবান্ন থেকে নির্দেশিকার পৌঁছেছে সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে।

মুখ্যসচিবের জেলাশাসকদের প্রতি বার্তা
বৃহস্পতিবারই রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি প্রতিটি জেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখবার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি নিজে এদিন কলকাতার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে চলেছেন বলে খবর। এদিন তাঁর বীরভূম সফর বাতিল করে কলকাতাতেই থাকবার কথা রয়েছে। নবান্ন থেকেই তিনি জেলাগুলির ওপর কড়া নজর রাখছেন বলে খবর।

গত শুক্রবার কী ঘটেছিল?
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেল গড়াতেই রাজ্য়ের বিভিন্ন জেলায় নাগরিকত্ব ইস্যু ঘিরে বিক্ষোভ আন্দোলন দেখা যায়। একের পর এক স্টেশনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন। রাস্তায় চলতি বাসে লাগানো হয়েছে আগুন। স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করে সেখানে সিগন্যালিং সিস্টেম বসিয়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ ও রাজনীতি
এদিকে, ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সরকার কতজনকে গ্রেফতার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস , সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয় বিজেপি। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের তরফে কমিটি গড়ে গণভোটের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদিবাসীদের জন্য আলাদা ধর্মের দাবি আরও জোরদার! ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে নয়া অধ্যায়
নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের থামাতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার উদ্যোগ পুলিশের! এরপর যা হল