নন্দীগ্রামে 'জমি মাপতে' পিকের বদলে সুব্রত, আই-প্যাকের উপর ভরসা নেই মমতার? প্রশ্ন বৈশাখীর
ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, 'দুয়ারে সরকার আর রাস্তায় বেকার৷ আপনার তো তো করে কথা বলা ভাইপোটি বলছিল, যতই নাড়ো কলকাটি, নবান্নে ফের হাওয়াই চটি৷ তবে আমরা কী বলব? পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তোলো, হাওয়াই চটি বদলে ফেলো৷ আপনার দিন শেষ দিদিমণি৷ ভুলতে পারি নিজের নাম ভুলব না জয় শ্রী রাম৷'
তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধতে ছাড়েননি বৈশাখী
এদিন আবার প্রশান্ত কিশরকে নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধতে ছাড়েননি বৈশাখী। রাজনৈতিক ছক কষতে কেন ভোট কৌশলী পিকে-কে বাদ দিয়ে ফের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখছেন মমতা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বৈশাখী। বৈশাখী বলেন, 'দিদি আজ আপনি রেইকি করতে পাঠাচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। কোথায় গেল আপনার কোটি টাকার সেই ঠিকাদার সংস্থা পিকে। আজ আবার দলের পুরনো মুখগুলোকে মনে পড়ছে আপনার, তাহলে কী কাজ করল পিকে?'
অভিষেকের গড়ে শোভন-বৈশাখী
উল্লেখ্য গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারে দ্বিতীয় সভা করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিষ্ণুপুরে সভা সেরে ডায়মন্ড হারবার শহরে পা রাখেন দুজনে। বিকেল ৫টা নাগাদ স্থানীয় কপাটহাট মোড় থেকে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করে বিজেপি। এই মিছিলে পা মেলালেন শোভন-বৈশাখি জুটি। উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমেশ দাস, সহ সভাপতি সুফল ঘাটু, সুরজিৎ হালদার, দেবাংশু পন্ডা প্রমুখ।
কলকাতা ও শহরতলিতে ৫১টি আসনে বিশেষ গুরুত্ব
এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতা ও শহরতলিতে ৫১টি আসনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি৷ এজন্য অনেক আগে থাকতেই সংগঠন তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে সংগঠনের রূপরেখা তৈরি করেছে গেরুয়া শিবির৷ রাজ্যকে কলকাতা, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গ এই ৫ জোনে ভাগ করা হয়েছে। বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায় সন্তোষকে কলকাতার জোনের প্রতিটি বিধানসভা ধরে ধরে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন একদিন আগেই।
কলকাতা জোনের সাংগঠনিক কাজের বিস্তারিত রিপোর্ট
কলকাতা জোনে কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার ৩টি মহকুমাকে রাখা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের দায়িত্বে আছেন একাধিক রাজ্য নেতা৷ তাঁদের সহায়তা করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷ কলকাতা জোনে শোভন-বৈশাখী-শঙ্কুদেব পণ্ডা ছাড়াও সাংগঠনিক কাজ দেখছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং৷ কলকাতা জোনের সাংগঠনিক কাজের বিস্তারিত রিপোর্ট নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ।