২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ঘোর অস্বস্তি! তাল ঠুকতে শুরু করেছে বিজেপি
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ঘোর অস্বস্তি! তাল ঠুকতে শুরু করেছে বিজেপি
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন যে বিজেপি বনাম তৃণমূলের মহাযুদ্ধ হতে চলেছে, তার আভাস মিলতে শুরু করেছে এখন থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্বলতা তুলে ধরে সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে বিজেপি এখন থেকেই তৈরি হচ্ছে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে।
তৃণমূলে চরম অস্বস্তির কারণ কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি
২০২১-এর আগে তৃণমূলে চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। মারামারি ও গোষ্ঠীসংঘর্ষ লেগেই রয়েছে বাংলার শাসকদলে। তৃণমূলের নিচু তলা থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত এই রোগে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করেছে। ফলে সামনে চলেছে কোন্দল।
যে অস্ত্রে তৃণমূলকে ঘায়েল করেছিল বিজেপি
তৃণমূলের এই কোন্দলকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং বিভিন্ন ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা থেকে হটানোই মূল লক্ষ্য তাদের। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যে অস্ত্রে তৃণমূলকে ঘায়েল করে ছেড়েছিল বিজেপি, ২০২১-এও সেই প্রেক্ষাপট সাজানো রয়েছে। শুধু আগুনে একটু ঘি দিলেই চলবে।
মুকুল চাইবেন তৃণমূলের কোমর ভেঙে দিতে
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে দলের কোন্দল রোধ করে ২০২১-এর যুদ্ধ জয়ে করে আসা। ২০২১ শুধু মহাসংগ্রাম নয়, প্রেস্টিজ ফাইটও মমতা ও মুকুলের। সেই যুদ্ধে উভয়েই কৌশ রচনা করছেন। শেষপর্যন্ত কার কৌশল ক্লিক করে, তা-ই দেখার। মমতার সমস্যা দলের ভাঙন রোধ করা। প্রকারান্তরে মুকুল চাইবেন তৃণমূলের কোমর ভেঙে দিতে।
তৃণমূলের কোন্দলের মাঝে বঁড়শি পেতেছে বিজেপি
সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বর্যীয়ান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাংসদ মহুয়া মৈত্ররা রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। দলের প্রবীণ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীদের দ্বারা জনসমক্ষে বিতর্কিত মন্তব্য বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূলের এই কোন্দলের মাঝে বঁড়শি পেতে বসে রয়েছে বিজেপি।
মমতার একটা বক্তব্যই বুমেরাং হতে পারত
আর এই বিতর্কের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা বক্তব্যই আবার বুমেরাং হয়ে যেতে পারত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি পার্টির বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ চাইলে দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। তারপরও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বা প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করা বন্ধ হয়নি। বিজেপি এই পরিস্থিতে বেশ মজা লুঠছে।
তৃণমূল বিপাকে পড়বেই একুশের লড়াইয়ে
এখানে উল্লেখ্য, এমনই গণ্ডগোলের জেরে মুকুল রায়ের মতো নেতাকে হারাতে হয়েছিল তৃণমূলকে। তার অভাব এখনও বোধহয় তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূলে তিনি সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন। এখন দলের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে যদি এমন অসন্তোষ তৈরি হয় তা ২০২১-এ তৃণমূলের পক্ষে খুবই খারাপ খবর। এখন সাধন, সুব্রতদের মতো নেতারা যদি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তৃণমূল বিপাকে পড়বেই একুশের লড়াইয়ে।
অনুশাসন বজায় রাখতে তৃণমূলে পাল্টা কৌশল
এই অবস্থায় তৃণমূলের প্রচার কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর আই-প্যাক টিম কী ব্যবস্থা নেয়, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে কড়া হুইপ জারি করে সংগঠনটিকে নতুন করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত কতাট যুক্তিসঙ্গত হয়, তাও দেখার। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেছেন, দলে অনুশাসন লঙ্ঘন সহ্য করা হবে না।
অবজ্ঞার চেয়ে ঔদ্ধত্য ভয়ঙ্কর, আইনস্টাইনের উক্তি ধার করে মোদীকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর