দিলীপ-শুভেন্দুদের ঘর ভাঙার আশঙ্কার মধ্যেই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিজেপি বিধায়ক!
দিলীপ শুভেন্দুদের ঘর ভাঙার আশঙ্কার মধ্যেই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিজেপি বিধায়ক!
সাড়ে তিনবছর পর তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়। আর ঘাসফুলে মুকুল আসতেই খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ১০ বিধায়ককে ফোন করেছেন মুকুল। তালিকাতে রয়েছেন দুই সাংসদও। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন বিজেপি নেতারা নাম নাকি মুকুল রায় দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তাঁরা কারা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর এই জল্পনার মধ্যেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি বিজেপিতে ভাঙন শুরু?
পার্থের বাড়িতে বিধায়ক
সোমবার বিধানসভায় সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরে কার্যত শক্তি প্রদর্শন করে পা হেঁটে রাজভবনে যান বিধায়করা। সেখানে রাজ্যের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরেই জানা যাচ্ছে, বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিক্কা বেহালায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। সেখানে প্রায় তৃণমূল নেতার পাশে বসে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপি বিধায়কের এই বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি বিধায়কের
এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। শুধুমাত্রই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। সম্প্রতি মাতৃ বিয়োগ হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সেই সূত্র ধরেই ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। গত ২৪ ঘন্টা আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই প্রসঙ্গ তুলেই বিজেপি বিধায়ক বলেন, পার্থদার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সমবেদনা জানাতে এই সময়ে পার্থদার পাশে থাকতেই দেখা করতে আসা বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
একাধিক সাংসদকে ফোন
শুক্রবার দলবদলের পর থেকে মুকুল রায় নাকি বিজেপির একাধিক সাংসদকে ফোন করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়ের ফোন ইতিমধ্যেই পেয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির তরফে মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য সম্প্রসারণে তাঁর নামও নাকি রয়েছে। ফলে তিনি কতটা সাড়া দিয়েছেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়াও একাধিক সাংসদ মুকুর রায়ের ফোন পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে মিলিয়ে বেশ কয়েকজন মুকুল রায়ের ফোন পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের শিখা চট্টোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী। দক্ষিণবঙ্গের সুদীপ মুখোপাধ্যায়, নরহরি মাহাত, বিশ্বনাথ কারক, বিশ্বজিৎ দাস, সত্যেন রায় ফোন পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রেও এইসব নামই ঘুরে ফিরে আসছে।
বিজেপির দলত্যাগ আটকাতে সেনাপতি শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি বিধানসভায় দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু করেই ছাড়বেন। এদিন বিকেলে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে বিজেপির বেসুরো বিধায়কদের সরাসরি তিনি ফোনও করেন। দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে রাজ্যপালের কোনও পদক্ষেপ না থাকলেও বিষয়টি যাতে আরও বেশি করে জনসমক্ষে আসে, তার জন্যই এই প্রক্রিয়া বলে জানা গিয়েছে।