তৃণমূলের স্লোগান এবার বিজেপির 'ঘরে', মমতার মোকাবিলায় নতুন ভাবনা মোদী-শাহদের
তৃণমূলের স্লোগান এবার বিজেপির 'ঘরে', মমতার মোকাবিলায় নতুন ভাবনা মোদী-শাহদের
এবার ২০০ পার। এই স্লোগান সভা-সমাবেশে সাড়া জাগালেও ভোটের বাক্সে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। ২০২৪-এ কেন্দ্রের শাসন টিকিয়ে রাখার লড়াই। সেই লড়াইয়ের আগেই নতুন ভাবনা বিজেপির (bjp) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) পরিবর্তে দায়িত্ব এবার কোনও মহিলার হাতেই ছাড়ার পরিকল্পনা মোদী-অমিত শাহদের। যদিও এব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি।
ডিসেম্বরে শেষ দিলীপ ঘোষের কার্যকালের মেয়ার
২০১৫-র ডিসেম্বরে দিলীপ ঘোষের হাতে রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁর আগে দিলীপ ঘোষ সরাসরি বিজেপির সংগঠনে না থাকলেও আরএসএস-এ প্রচারক হিসেবে আন্দামানের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৫ থেকে দু দফায় ২০২১ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব সামলাতে পারবেন। যা তিনি এখন করছেন। বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতির পদে ছয় বছরের বেশি কেউ থাকতে পারেন না। ফলে শুরু হয়েছে নতুন চিন্তা ভাবনা।
বাংলা নিজের মেয়েকে চায়
ভোটের প্রচারের যখন বিজেপির তরফে বারবার বলা হচ্ছে এবার ২০০ পার, সেই সময় তৃণমূল পাল্টা স্লোগান তোলে বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। বিজেপি নেতারা বহিরাগত। বহিরাগত শব্দ নিয়ে বিজেপি নেতারা প্রতিবাদ করেছিলেন। অন্যদিকে ভোটের ফল বেরনোর পরে দেখা যায় বাংলা নিজের মেয়েকেই বেছে নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মন্ত্রিসভাতেও ক্যাবিনেটমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে স্থান দেন ৯ জন মহিলাকে। এর মধ্যে রয়েছেন জঙ্গলমহলের তিনজন। অন্যদিকে দলের যুবনেত্রীর পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসিয়েছেন বাংলার মেয়ে সায়নী ঘোষকে।
বিজেপিতেও এবার বাংলার মেয়ে
তৃণমূলের তরফে বিজেপিকে নারী বিদ্বেষী বলে আক্রমণ করা হয়েছে। শীর্ষপদে মহিলাদের স্থান দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগে গেরুয়া শিবির আমল না দিলেও এবার রাজ্য সভাপতি পদে বাংলার মেয়েকেই বেছে নিতে চলেছে বিজেপি। এব্যাপারে দুই নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, একজন হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং অপরজন হলে লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এগিয়ে দেবশ্রী চৌধুরী
একদিকে দেবশ্রী চৌধুরীর পরিবার যেমন আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত অন্যদিকে তিনি নিজেও সংঘের ঘরের মেয়ে। এবারের নির্বাচনে নিজের রায়গঞ্জ লোকসভার অন্তর্গত রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ জিতেছে বিজেপি। এর আগে কালিয়াগঞ্জের উপনির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হলেও, বিধানসভা নির্বাচনে তারা তা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি ছিলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক।
উঠেছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামও
লড়াকু ভাবমূর্তি রয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। হুগলির সাংসদের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তিনি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রীও ছিলেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফল তাঁকে পিছিয়ে দিয়েছে। একদিকে তিনি যেমন চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে লড়াই করে পরাজিত হয়েছেন, অন্যদিকে নিজের হুগলি কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার একটিও বিজেপি জিততে পারেনি। তবে এব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।