তৃণমূলের রক্ষাকবচে গুরুং, তাই কি গ্রেফতারি নয়, মমতা সরকারকে খোঁচা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের
তৃণমূলের রক্ষাকবচে গুরুং, তাই কি গ্রেফতারি নয়, মমতা সরকারকে খোঁচা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। তারপরেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে। শাসক দলের আশ্রয়ে রয়েছে বলেই বিমল গুরুংকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
কেন গ্রেফতার নয় গুরুং
পাহাড়ে অশান্তির পর রাজ্য সরকারই তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করে। বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযাগ। প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করল না কেন। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা।
তৃণমূলের আশ্রয়ে গুরুং
তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিমল গুরুং। গত বুধবার সকলকে চমকে দিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বিমল গুরুং। শাসক দলও তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শাসক দল তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে বলেই পুলিস গুরুংকে গ্রেফতার করতে সাহস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন কৈলাস।
গুরুংয়ে তোলপাড় রাজ্য
বুধবার হঠাৎ করে সব রাজনৈতিক সমীকরণ ওলট পালট করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বহিষ্কৃত মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমত বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বিমল ঘোষণা করেন তিনি তৃণমূলে থাকতে চান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর পর থেকে পলাতক ছিলেন গুরুং। তারপর তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে।
প্রশান্ত কিশোরের কৌশল
গুরুংয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে পিকে স্যারের মস্তিস্ক। গত কয়েক মাস ধরেউ গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। গুরুংকে তৃণমূলে আনতে তিন মন্ত্রীরও হাত রয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু গুরুংয়ের এই পদক্ষেপ যে পাহাড়ে বিজেপিকে চাপে ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে ভারতের শক্তিশেল! FATF এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগে দিল্লির মোক্ষম চাল