বিজেপির টার্গেট ২৫০-র রণকৌশল তৈরি, মমতার বাংলায় ফের পরিবর্তনের বাদ্যি
লোকসভায় ২৩টি আসন টার্গেট করে ১৮টিতে জিততে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার দখল নিয়ে টার্গেট স্থির করে ফেলল বিজেপি।
লোকসভায় ২৩টি আসন টার্গেট করে ১৮টিতে জিততে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার দখল নিয়ে টার্গেট স্থির করে ফেলল বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে কমপক্ষে ২৫০টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসতে। ২৯৪টির মধ্যে ২৫০ আসনে জিততে রণকৌশল স্থির করছে বিজেপি। সেই কারণেই আরও তৃণমূল নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে নেতৃত্ব।
কোন অঙ্কে জয় আসতে পারে
লোকসভা নির্বাচনে বিরাট জয় পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনতে বিজেপি নীল নকশা তৈরি করে ফেলেছে। কোন অঙ্কে জয় আসতে পারে, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করে দিয়েছেন এখন থেকে। সেই কারণেই তৃণমূল ভেঙে বিজেপিকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরা।
টার্গেট ২৫০ বিজেপির
বিজেপি নেতৃত্ব লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে রাজ্যে ২৫০টি আসন জেতার। তাহলে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন জিততে তাঁদের কোনও অসুবিধাই হবে না। ২০২১ সালে ২৯৪ আসনের যুদ্ধে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়াই এখন মূল লক্ষ্য। লোকসভায় তৃণমূলের থেকে মাত্র চার আসন কম পেয়েছে বিজেপি। পরবর্তী নির্বাচনে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে তাই তৃণমূলকে ভেঙে ছারখার করে দিতে চাইছেন মুকুল-দিলীপরা।
২০০টি কেন্দ্রে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। লোকসভা ভোটের নিরিখে রাজযের ১২৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই তারা এগিয়ে। আরও ৬০টি কেন্দ্রে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে ২০০টি কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী। তার উপর আরও কয়েকটি কেন্দ্রের তাঁরা থাবা বসাতে তৎপর।
শাসক ও অন্যান্য বিরোধীরাও ক্ষয়িষ্ণু
বিজেপি মনে করছে, রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল সহ, অন্যান্য বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএমও ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। সব দল ভেঙে ভিড় বাড়ছে বিজেপিতে। এই অবস্থায় তৃণমূলকে হারানোর এটাই মহার্ঘ সুযোগ। তাই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। আর তা করতে গেলে এখন থেকেই যে কাজ শুরু করে দিতে হবে, তাও জানেন বিজেপি নেতারা।
রণকৌশলের অঙ্ক তৈরি বিজেপির
এই লক্ষ্যে শুধু তৃণমূলে ভাঙন ধরানোই নয়, বিজেপি একেবারে অঙ্ক কষে এগোচ্ছে। ২৯৪টি আসনকে তাঁরা ভাগ করেছে বেশ কয়েকটি গ্রেডে। যেখানে জয় নিশ্চিত বা বিজেপি এগিয়ে রয়েছে সেগুলি এ গ্রেড। অর্থাৎ ১২৯টি আসন এ গ্রেডে রয়েছে। যেখানে জয়ের ব্যবধান কম, সেই ৬০টি আসন বি গ্রেড। আর আসন বাড়াতে যেগুলিতে নতুন করে টার্গেট করা হবে, সেগুলি সি গ্রেড।