‘সাহস থাকলে সামনে আসুন’, গুরুংকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আর কী বার্তা তামাংয়ের
পাহাড়ের মানুষকে বনধের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি দিয়েও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন করা যায়। এই প্রসঙ্গেই তিনি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে বার্তা দেন সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার।
দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন সাসপেন্ডেড মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানান, 'সাহস থাকলে সামনে আসুন। প্রকৃত নেতারা সামনে থেকে লড়াই করে। পিছন থেকে হুঙ্কার ছাড়ে না। সত্যিকারের নেতা হলে লুকিয়ে থাকবেন না বাইরে বেরিয়ে আসুন।'
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণনাশের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। বিনয়বাবু বলেন, 'আমি এখন টার্গেট হয়ে গিয়েছি। ফলে যে কোনও মুহূর্তে আমার উপর হামলা হতে পারে।' মোর্চার সাসপেন্ডেড নেতার কথায়, 'পাহাড়ের অচলাবস্থা দূর করা সবার আগে দরকার বলে মনে হয়েছিল। তাই পাহাড় বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলাম। সেই ঘোষণার কোনও ভুল ছিল বলে আমি মনে করি না।'
তিনি আরও বলেন, 'দল আমাকে নবান্নে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল। আমি দলের কথা সেই সর্বদল বৈঠকে আলোচনা করেছি। দলের অ্যাজেন্ডায় সবার উপরে রয়েছে গোর্খাল্যান্ড। সেইমতোই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে যে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও পয়লা নম্বরে রয়েছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি।'
তিনি মনে করেন, পাহাড়ের মানুষকে বনধের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি দিয়েও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন করা যায়। এই প্রসঙ্গেই তিনি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে বার্তা দেন সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার। তিনি বলেন, 'মানুষের পাশে থেকে লড়াই করুন, তবেই তো মানুষ আপনাকে প্রকৃত নেতা মানবে। আপনি যদি প্রকৃত নেতা হন, তাহলে লুকিয়ে রয়েছেন কেন? সামনে আসুন।'
উল্লেখ্য, এদিনই ফের ভিডিও বার্তায় হুঙ্কার ছাড়েন বিমল গুরুং। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, পাহাড়ে সংঘর্ষ চলতেই থাকবে। তারই পাশাপাশি বিদ্রোহী নেতাদেরও উচিত শিক্ষা দেবেন তিনি। গোর্খাল্যান্ডের জন্য প্রয়োজনে একাই লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও বার্তা দেন গুরুং। তারপরই বিনয় তামাংয়ের এই বার্তা পাহাড় রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।