অক্সিজেন আছে, ফ্লোমিটার নেই! দেখার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উৎপাদনে হাত বাংলার যুবকের
করোনাকালে অক্সিজেনের জন্য যখন প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ, কখনো বা সিলিন্ডার পাওয়া গেলেও ফ্লোমিটারের অভাবে দেওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন।
করোনাকালে অক্সিজেনের জন্য যখন প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ, কখনো বা সিলিন্ডার পাওয়া গেলেও ফ্লোমিটারের অভাবে দেওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন। এরকম পরিস্থিতিতে বেলুড়ের এক ফ্লোমিটার প্রস্তুতকারী সংস্থা রাজ্য সরকারের হাতে বিনামূল্যে ২০০টি ফ্লোমিটার তুলে দিতে চলেছেন।
শুধু তাই নয়, সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই সময়ে তাদের চাহিদামতো এই সংস্থা একেবারে উৎপাদিত মূল্যে তারা যেভাবে সরবরাহ করছে, সেই একইভাবে রাজ্য সরকার চাইলে অত্যন্ত স্বল্পমুল্যে তারা সরবরাহ করতেও প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে হাওড়া জেলা প্রশাসনের হাতে এই ফ্লোমিটারগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার কর্ণধার বেলুড়ের তিনটি জায়গায় অক্সিজেন হাব করতে চলেছেন চলতি সপ্তাহে। যেখানে খরচে কেনা প্রায় ৩০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার করোনা রোগে আক্রান্তদের জন্য রাখা থাকবে।
সম্প্রতি কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যায় অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ফ্লোমিটারের অভাবে অক্সিজেন দেওয়া যায়নি অনেক রোগীকে। এমনকি দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুই রোগীর মৃত্যুও পর্যন্ত ঘটে যায়।
এই ঘটনায় বিচলিত হয়ে বেলুড়ের এক ক্ষুদ্র শিল্পীদ্যোগী তাঁর নিজের কারখানায় উৎপাদিত ফ্লোমিটার রাজ্য সরকারের কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। সংস্থার তরফে উৎপল দাস বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখলাম এই ফ্লোমিটারের অভাব রয়েছে।
এই ফ্লোমিটার অনেক বেশি টাকায় কোথাও বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মেটেরিয়াল নিয়ে যাচ্ছে। তখন বুঝলাম আমাদেরও রাজ্য সরকারের পাশে থাকা উচিত। সেই জন্য ভাবলাম ২০০টি ফ্লোমিটার যদি দিই তাহলে ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার চালু হবে। অনেক রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। এমনটাই জানিয়েছেন সংস্তার কর্ণধার।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আমরা প্রথমে জানতাম না। পরে সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি। তখনই এই চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। বলেন উতপলবাবু। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিয়ে গেছে। এই ফ্লোমিটার অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিরা যখন জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনই মনে হয়েছে দ্রুত এই নিয়ে কিছু করা উচিত। আর তা থেকেই এমন উদ্যোগ তাঁর,
ঠিক হয়েছে রাজ্য সরকারকে ২০০টি ফ্লোমিটার ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। যেখানে যতগুলো প্রয়োজন সেখানে সেখানে তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে দু'শোর বেশি ফ্লোমিটার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই ফ্লোমিটার তৈরির কাজ চলছে বলেও জাইয়েছেন তিনি।