জেলায় জেলায় কৃষি বিলের সমর্থনে এবার ময়দানে নামছেন বাংলার বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা
একদিকে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ১৯ বছরের তরুণীর গণধর্ষণ, অন্যদিকে এর কিছুদিন আগেই সংসদে পাস হওয়া তিনটে কৃষি বিল। এই দুই ঘটনাই বিজেপিকে কুপোকাৎ করে দিয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই। সংসদে কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের উত্তালের পর দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। বাংলায় যখন বিরোধীরা হাথরাসের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে ব্যস্ত তখন এ রাজ্যের বিজেপির হেভি ওয়েট নেতারা ঠিক করেছেন যে তিনটে কৃষি বিলের সমর্থনে জেলায় জেলায় জনসভা করবেন।
অন্যন্য লক্ষ্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দলীয় পদক্ষেপগুলি সক্রিয় করা এবং ৪ অক্টোবরের জন্য বেঙ্গল যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের পক্ষে সমর্থকদের একত্রিত করা। বিজেপির উত্তর কলকাতার সংগঠনে পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় কৃষি বিলের সমর্থনে মোটরবাইক র্যালি করা হচ্ছে, অন্যদিকে দলের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে আসানসোলে জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। বিজেপির ভারতী ঘোষ সবংয়ের জনসভায় যোগ দেবেন এবং উত্তরবঙ্গের দলীয় নেতারা কৃষি সুরক্ষা মিছিল করবেন জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি অঞ্চলে।
বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা ও তাঁর উত্তরসূরি অমিত শাহ বাংলায় দলীয় ইউনিটকে জানিয়েছে যে যিব মোর্চা র্যালিতে তাঁদের সব শক্তি উজাড় করে দিতে। অর্জুন সিং এ প্রসঙ্গে বলেন, 'এই কৃষি বিল মধ্যমব্যক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখে এবং কৃষকদের অনুমতি দেয় যাতে তাঁরা তাঁদের পণ্য সরাসরি ব্যবসায়ীকে বিক্রি করতে পারে। মোদী সরকার এই বিলের মাধ্যমে সরবরাহ চেনকে সংক্ষিপ্ত করতে চায় এবং কৃষকদের উপার্জনকে বৃদ্ধি করাতে চায়।’
অর্জুন সিং আরও বলেন, 'পাঞ্জাব ৮.৫% ও হরিয়ানায় ৬.৫% মান্ডি কর দিতে হয় কৃষকদের। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে এই কর নেওয়ার কোনও সীমা সেই, সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মান্ডি তৈরি করে দেওয়া সত্ত্বেও কৃষকরা সেখানে যান না। রাজ্য প্রশাসনের সহায়তায় তৃণমূল কর্মীরা আলু ও ধানের উৎপাদক।’ অর্জুন সিং বাংলার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের আদলে তাঁর বক্তব্য রাখেন। যিনি বলেছিলেন যে সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেস কৃষকদের বিরুদ্ধে। তারা মধ্যস্থতাকারীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই প্রতিবাদ করছে।