প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কেশিয়াড়িতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে বাধা তৃণমূলের, অভিযোগ বিজেপির
কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ফের স্থগিত করে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসন।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ফের স্থগিত করে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসন। আদালতের নির্দেশে সোমবার কেশিয়াড়ী পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করার কথা ছিল। সেই মর্মে নির্দেশিকা জারিও করে প্রশাসন।
কিন্তু রবিবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত রাখা হল। এখন বোর্ড গঠন করা হলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনার উল্লেখ করাও হয়েছে তাতে।
এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ২৫ আসনের এই পঞ্চায়েত সমিতিতে তাদের কাছে ১৪ জনের সমর্থন আছে। গত বছর মে মাসে হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি। তারা জেতে ১৩ টি আসনে। কিন্তু এক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা পরে বাতিল করা হয়।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এখানে বোর্ড গঠন করছে না প্রশাসন। তৃণমূল কংগ্রেস যাতে বোর্ড গঠন করতে পারে তার জন্য প্রশাসনও চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেশিয়াড়িতে সভা করে বুঝিয়ে দেন যে বিজেপিকে বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হবে না। আর শুভেন্দু অধিকারীকে এলাকা পুনরুদ্ধার করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই এলাকায় লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে বেশি ভোট পায় বিজেপি। এমনকি নির্বাচিত এক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যা গত সপ্তাহে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু সোমবার কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করার কথা থাকলেও রবিবার রাতে তা স্থগিত করে দেয় প্রশাসন।
জেলার বিজেপি নেতা সমিত দাস বলেছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে কেশিয়াড়িতে বোর্ড গঠন করেনি প্রশাসন। এখন আদালতের নির্দেশে সোমবার এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করার কথা থাকলেও রবিবার রাতে একটি অজুহাত খাড়া করে তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এখানে বোর্ড গঠন ফের স্থগিত করে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসন। আমরা এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করব।
তবে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, এটা পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোন সম্পর্ক নেই।