বিকেল পাঁচটায় লকডাউনে কলকাতা, সবজি বাজারে দিনভর চলল কালোবাজারি
বিকেল পাঁচটায় লকডাউনে কলকাতা, সবজি বাজারে দিনভর চলল কালোবাজারি
ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে গোটা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫। মৃতের সংখ্যা ৬। আংশিক লকডাউন গোটা দেশ জুড়েই।
এদিকে রবিবার জনতা কার্ফুর পর সোমবার থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী রেল পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। একইসাথে ২৩শে মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের গোটা রাজ্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনও।
২৭শে মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় কলকাতা
জরুরী পরিষেবা ছাড়া এই সময় বন্ধ থাকবে প্রায় সকল গণপরিবহন। বন্ধ থাকবে সব দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি সমস্ত অফিসই। যদিও খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট ঠেকাতে খোলা থাকবে সমস্ত ওষুধ. পাড়ার মুদির দোকান, সবজি,ফল, মাছ, মাংসের দোকান। তাই অযথা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
কাঁচামাল মজুত করতে হিড়িক কলকাতাবাসীর
কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে সোমবার বিকেল থেকে লকডাউন শুরুর আগেই কাঁচামাল মজুত করতে হিড়িক দেখা গেল সাধারণ মানুষের মধ্যে। এদিকে ইতিমধ্যে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সাত জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ দেখা গেছে। যার মধ্যে ৬ জনই দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। এবার করোনা সংকট মোকাবিলায় সেই দক্ষিণ কলকাতার বেআব্রু ছবি ধরা পড়ল ওয়ান ইণ্ডিয়ার ক্যামেরায়।
সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদারে চলছে কালোবাজির
সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে এক শ্রেণির অসাধু সবজি বিক্রেতাকে দেখা গেল চড়া দামে আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে একাধিক কাঁচামাল বিক্রি করতে। যাদবপুর ৮বি সংলগ্ন বাজারে দেখা গেল কোথাও আলু বিকোচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কিলোদরে। আবার কোথাও পেঁয়াজ বিকোচ্ছে প্রায় ৫০ টাকার উপরে। একই অবস্থা টালিগঞ্জ, পল্লীশ্রী, বিজয়গড় সহ একাধিক এলাকায়। কোথাও আবার বিক্রেতা-ক্রেতার মধ্যে সবজির দাম নিয়ে বচসা বাঁধতেও দেখা গেল।
করোনা সংকটের মাঝেই সোমাবার সকালে উঠে এল দক্ষিণ কলকাতার বেআব্রু ছবি
অন্যদিকে মুদির দোকানেও পড়েছে লম্বা লাইন। সকাল দশটা বাজতে না বাজতেই দক্ষিণ কলকাতার বিস্তৃণ অঞ্চলে আকাল দেখা দিল ডিম থেকে শুরু করে মুড়ি, চাল একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। যদিও এদিকে করোনা ঠেকাতে বারবার মানুষকে জমায়েত ও ভিড় এড়াতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করে সোমবার সকালে আগাম খাবার মজুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল শহুরে বাঙালী। প্রশ্ন উঠছে মুখে মাস্ক পড়ে জমায়েত করলে আদেও কি ঠেকানো যাবে করোনাকে?