এখনই সতর্ক হন, অন্যথায় পুজো শেষেই করোনা সুনামি হবে রাজ্যে! মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি চিকিৎসকদের
কেরল থেকেই শিক্ষা নিক বাংলা! অন্যথায় পুজো শেষেই করোনা সুনামির সাক্ষী থাকবে রাজ্যবাসী
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। ওই চিঠিতেই করোনা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্কও করেছেন তারা। একইসাথে সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকারের দায়সারা মনোভাবেরও কড়া সমালোচনা করেন তারা।
পুজোর আবহেই করোনা বিধি জোরদার করতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি
চিকিৎসকরদের একটা বড় অংশের দাবি করোনা মোকাবিলায় দ্রুত রাজ্য প্রশাসনের এই দায়সারা মনোভাব ছেড়ে ফেলার প্রয়োজন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ফের রাজ্য কড়া বিধিনিষেধ জারির পক্ষেও সওয়াল করেন তারা। আর তা নাহলে গোটা রাজ্যে ফের করোনা সুনামির মুখোমুখি হবে বলেও চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়েছেন তারা।
কেরলের ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিক বাংলা, দাবি চিকিৎসকদের
এদিকে ‘ওনাম' উত্সবের পর কেরলে ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে করোনা স্রোত। উত্সবের মরসুমে করোনাবিধি মানার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের গা ছাড়া মনোভাবেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে মনে করছে কেরল প্রশাসন। বর্তমানে রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশের দাবি কেরলের ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিক পশ্চিবমঙ্গ।
কন্টেইনমেন্ট জোনে পুজোতে না কেন্দ্রের
এদিকে পুজোই যেন মারণ করোনার মারণাস্ত্র না হয়ে যায় সেই বিষয়েও রাজ্য সরকারকে বিশেষভাবে সতর্ক করতে দেখা যায় বিশেষজ্ঞদের। একইসাথে কন্টেইনমেন্ট জোনে পুজোতে না করেছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি এই সময় করোনা বিধি মানার ক্ষেত্রেও রাজ্য প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
ঈদ, ১লা বৈশাখে কড়াকড়ি হলে দুর্গাপুজোয় অন্যথা কেন?
চিকিৎসকেরা মতে পুজোর সময় সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কলকাতার পাশাপাশি করোনা সুনামি দেখা যাবে গোটা রাজ্যেই। অন্যথায় পরিস্থিতির কি পরিমাণ অবনতি হতে পারে তা বোঝাতে কেরলের পাশাপাশি স্পেনের উদাহরণ টানেন চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ। তাদের সাফ বক্তব্য করোনাকালে যখন ঈদ, ১লা বৈশাখের মতো অনুষ্ঠান মানুষ ঘরে বসে পালন করতে পেরেছে তখন দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেও কড়া অবস্থান নিক রাজ্য সরকার।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমণে রেকর্ড, সক্রিয়ের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে