২০২১-এর লক্ষ্যে ঘর গোছাচ্ছে ঘাসফুল শিবির! প্রভাবশালী সিপিএম বিধায়কের যোগদান তৃণমূলে
২০২১-এর লক্ষ্যে ঘর গোছাচ্ছে ঘাসফুল শিবির! প্রভাবশালী সিপিএম বিধায়কের যোগদান তৃণমূলে
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা সিপিএম-এ (cpm)। এদিন তাঁদের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূলে (trinamool congress) যোগ দিয়েছেন। এলাকায় রফিকুল ইসলামের মতো রাজনীতিক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়, ঘাসফুল শিবির আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী দিনে বেশ কয়েকজন বিরোধী বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
অরূপ বিশ্বাসের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ রফিকুলের
এদিন দুপুরে তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন একবারের সিপিএম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম। সেখানে অরূপ বিশ্বাসের হাত থেকে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। তাঁর সঙ্গে এদিন বেশ কয়েকজন বিএসপির নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তৃণমূলে
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলের হাতকে শক্ত করতেই তাঁর তৃণমূলে যোগদান। রাজ্যে লকডাউন শুরু হওয়ার পর এই রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী বাইকে করে গিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে।
বসিরহাট থেকে ২০১৬ সালে নির্বাচিত
রাজ্যের মানচিত্রে ২০১১ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রটি। আগে এখানে শুধুমাত্র বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্র ছিল। বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্রটিতে বরাবরই সিপিএম জয়ী হয়ে এসেছে। ২০১১ সালেও ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম-এর মোস্তাফা বিন কাসেম। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর ওই বছরেই উপনির্বাচন হয়। জয়ী হন তৃণমূলের এটিএম আবদুল্লা। কিন্তু ২০১৬তে তৃণমূল সেই আসন ধরে রাখতে পারেনি। জয়ী হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম।
তৃণমূলে বিদ্রোহী রফিকুলটে টিকিট দিয়েছিল সিপিএম
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় আগে তৃণমূল করতেন রফিকুল ইসলাম। টিকিট না পেয়ে ২০১৬ সালে বিদ্রোহী হয়েছিলেন তিনি। পরে সিপিএম তাঁকে টিকিট দেয়।
সিপিএম-এ একই নামে আছেন আরও এক বিধায়ক
সিপিএম-এ রফিকুল ইসলাম নামে রয়েছেন আরও এক বিধায়ক। তিনি উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বিধায়ক। গত অগাস্টে তিনি অভিযোগ করেছিলেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোক খুঁজতে পিকের লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তিনি তাতে না করে দিয়েছেন।
আগেও একাধিক সিপিএম বিধায়ক দল ছেড়েছেন
এর আগেও একাধিক সিপিএম বিধায়ক দলবদল করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নবগ্রামের পরপর দুবারের সিপিএম বিধায়ক কানাই মণ্ডল। ২০১৮-র ডিসেম্বরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। জনগণের জন্য কাজ করতে চান বলেই, তৃণমূলে তাঁর যোগদান বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের আগে মালদহের হবিবপুরের তিনবারের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯-এ লোকসভায় বিজেপির বিপুল জয়ের পর হেতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সিপিএম বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
পুজোর আগেই বনগাঁয় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবার