গ্রেফতার করুন মমতাকে, সরব কুণালকে ঠেকাতে পুলিশের সার্কাস
সারদা মিডিয়ার এক কর্মীর রুজু করা এফআইআরের ভিত্তিতে সুদীপ্ত সেন ও কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিমন কুণালবাবুকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। বেরিয়ে আসার সময় তিনি বলেন, "সারদার থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা হলে মুখ্যমন্ত্রীকে কেন অ্যারেস্ট করা হবে না? এই পুলিশ দালালি করছে। কী করে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা যায়, সেটা দেখছে। সাহস থাকলে মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে অ্যারেস্ট করুন।"
কুণালবাবু যখন এমন বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন, তখন পুলিশের অসহায় দশা দেখে হেসে ফেলেন উপস্থিত অনেকে। একজন পুলিশ অফিসার ক্যামেরা থেকে কুণালবাবুকে আড়াল করতে সামনে হাত নিয়ে দোলাতে থাকেন। দু'জন দুই হাত ধরে টানতে থাকে। কুণাল ঘোষ মাটিতে বসে পড়লে লাল রঙের টি-শার্ট খামচে ধরে তাঁকে ভ্যানে তোলার চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিকদের আটকাতে একজন ইউনিফর্মপরা পুলিশকর্মী প্রিজন ভ্যানের দরজার হাতল ধরে টারজানের কায়দায় ঝুলে পড়েন! রীতিমতো সার্কাস আর কী!শেষ পর্যন্ত আরও কয়েজন এসে চ্যাংদোলা করে তাঁকে ভ্যানে তুলে দেয়। ভ্যানের ভিতর থেকে তখনও কুণালবাবু চিৎকার করে বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করুন। সেই চিৎকার ঢাকা দিতে প্রিজন ভ্যানের গায়ে থাবড়া মারতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিয়েই ফের জেলের উদ্দেশে ছোটে পুলিশের গাড়ি।