তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের পেটানোর নিদান অনুব্রতর! হঠাৎ কেন ফের মাত্রা ছাড়ালেন
অনুব্রত মণ্ডল ফের পুরনো ফর্মে ফিরছেন ধীরে ধীরে। ক-দিন আগে তাঁর সামনেই অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূলের নেতা বিজেপির হয়ে ভোট করেছেন।
অনুব্রত মণ্ডল ফের পুরনো ফর্মে ফিরছেন ধীরে ধীরে। ক-দিন আগে তাঁর সামনেই অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিজেপির হয়ে ভোট করেছেন। অন দ্য স্পষ্ট তিনি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এবার কর্মী সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়েই বেলাগাম আক্রমণ শানালেন দলেরই একাংশ নেতার বিরুদ্ধে। এমনকী তিনি ওই সব নেতাদের বেঁধে পেটানোর নিদান দিলেন।
গরিবের জমি বিক্রি করলে, বেধড়ক পেটান
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, দলের কিছু নেতা গরিবদের জমি বেআইনিভাবে বিক্রি করে দিচ্ছে। অনেকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চে বসেই তাঁর নিদান, গরিবের জমি বিক্রি করলে, বেধড়ক পেটান। তাঁর এই মন্তব্যে নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।
অভিযোগ সামনে আসতেই গর্জে ওঠেন অনুব্রত
সোমবার বোলপুর বিধানসভা বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে অনুব্রত মণ্ডল খতিয়ে দেখছিলেন বিগত লোকসভা ভোটে কোন বুথে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কেনই বা তারা পিছিয়ে তা পর্যালোচনা করছিলেন। তখনই এই জমি বিক্রি চক্রে তৃণমূল নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসে। গর্জে ওঠেন অনুব্রত।
পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ গরিবদের জমি বিক্রি
রূপপুর পঞ্চায়েতের এক নেতা অভিযোগ করেন, তাঁদের এলাকায় তৃণমূলের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ গরিবদের জমি চুপিসারে বিক্রি করে দেওয়া। তৃণমূলের নেতারাই এই চক্রে লিপ্ত রয়েছেন। তার প্রভাব পড়েছে রূপপুর পঞ্চায়েতে। আর তা শুনেই অনুব্রত বলে ওঠেন, যারা এই কাজ করছেন, তাঁদের বেধড়ক মার দিতে হবে।
থানায় অভিযোগ জানিয়ে আমার কাছে আসুন
অনুব্রত বলেন, গরিবদের জমি কাড়া হলে, থানায় অভিযোগ জানিয়ে আমার কাছে আসুন। মুখের কথায় মানব না, থানায় অভিযোগ জানিয়ে আসতে হবে। তারপর যারা এইসব কাজ করছে তাদের পিটিয়ে সোজা করে দেব। তাঁর স্পষ্ট কথা, যারা দলের মধ্যে থেকে গ্রুপ বাজি করে তাদের দলে থাকতে হবে না।
মানুষের মাথায় মোদী ভূত ভর করেছিল
বোলপুর পুরসভায় প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থী পুরসভা এলাকা থেকে লিড পেয়েছিলেন। কেন এমনটা হল। পুরপ্রধান সুশান্ত ভকতের কাছে এই প্রশ্ন পাড়তেই উত্তর যেন প্রস্তুত করাই ছিল। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের সময় মানুষের মাথায় মোদী ভূত ভর করেছিল। এখন আর সেই ভূত নেই। সবার মোদী-ভূত নেমে গিয়েছে। এখন ভোট হলে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ হাজার লিড পাবো আমরা।
মোদী জমানায় রেলেও করুণ দশা! ব্যয়ের তুলনায় আয়ের অনুপাত ১০ বছরে নিকৃষ্ট