আনিস-কাণ্ডে গোপন জবানবন্দি দেবে পরিবার, অবশেষে সিটের আবেদনে মিলল সাড়া
আমতার ছাত্র-নেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই তদন্তকারী পুলিশ অফিসার পা সিটের সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন না আনিসের বাবা বা তাঁর পরিবার। তাঁরা বরাবর সিবিআই তদন্তের পক্ষপাতী ছিলেন।
আমতার ছাত্র-নেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই তদন্তকারী পুলিশ অফিসার পা সিটের সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন না আনিসের বাবা বা তাঁর পরিবার। তাঁরা বরাবর সিবিআই তদন্তের পক্ষপাতী ছিলেন। শেষমেশ আদালতের পর্যবেক্ষণে সিট তদন্ত শুরু করেছে। সিটের আবেদনে অবশেষে গোপন জবানবন্দি দিতে রাজি হল আনিসের পরিবার।
আনিসের পরিবার আগামী সপ্তাহে টানা দুদিন গোপন জবানবন্দি দেবেন বিচারকের কাছে। উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তাঁরা গোপন জবানবন্দি দেবেন। সিট সূত্রে জানা গিয়েছে, আনিসের পরিবারের সাত জন সদস্যের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। আগামী ৬ এপ্রিল আনিসের বাবা সালেম খান এবং দাদা সাবির খান-সহ পরিবারের চার সদস্য গোপন জবানবন্দি দেবেন। বাকিরা জবানবন্দি দেবেন পরদিন।
শুক্রবার সিটের সদস্যরা আমতায় আনিসের বাড়িতে আসেন। তারপরই গোপন জবানবন্দির দিন ঠিক হয়। সিটের সদস্যরা শুক্রবারই গোপন জবানবন্দি নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজি ছিলেন না আনিসের বাবা। এরপর ৬ ও ৭ এপ্রিল তাঁদের গোপন জবানবন্দির দিনটি ধার্য হয়। শুক্রবার মৃত ছাত্র নেতা আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য।
এর
আগে
সিট
আনিসের
বাবা
সালেম
খানকে
দিল্লিতে
নিয়ে
যেতে
চেয়েছিল।
সেখানে
লাই
ডিটেক্টর
টেস্টের
জন্য
তাঁকে
নিয়ে
যাওযার
পরিকল্পনা
হয়েছিল।
কিন্তু
তিনি
যেতে
নারাজ
ছিলেন।
সিটের
প্রস্তাবে
সালেম
খান
তীব্র
আপত্তি
জানান
তখন।
গত
শনিবার
সিটের
ছয়
সদস্য
গিয়েছিলেন
আমতার
সারদা
গ্রামে
আনিস
খানের
বাড়িতে।
সিটের
তরফে
এক
চিত্রগ্রাহককে
সঙ্গে
নিয়ে
তদন্তকারী
অফিসাররা
এসেছিলেন
আমতায়।
তাঁরা
ঘণ্টা
দুয়েক
আনিসের
বাড়িতে
ও
এলাকায়
তদন্ত
চালান।
বিভিন্ন
জায়গায়
মাপজোক
করেন।
সালেম
তখন
তদন্তকারীদের
দেখান
কোথা
থেকে
কীভাবে
পড়েছে
আনিসের
দেহ।
সিট
ফের
আনিসের
বাবার
বয়ান
রেকর্ড
করে।
তারপর
সিটের
সদস্যরা
তাঁকে
প্রস্তাব
দেন
লাই
ডিটেক্টর
টেস্টের
জন্য
তাঁকে
দিল্লি
নিয়ে
যাওয়া
হবে।
সালেম
খান
সেই
প্রস্তাবে
রাজি
হননি।
তারপর সিট আনিসের পরিবারের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করে। সেই আবেদনে পরে হলেও রাজি হয়েছেন আনিসের পরিবার। আদালতে গিয়ে তাঁরা জবানবন্দি দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিট গঠন করেছিলেন আনিসের মৃত্যুর পর। ১৫ দিনের মধ্য সত্য সামনে আনার কথা বলেছিলেন। সিট আদালতের নির্দেশের ১৫ দিনের মাথায় হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তবে তাঁরা আদালতে আরও এক মাস সময় চান।