দুর্গাকে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে এবার লাগছে জীবাণুনাশক শংসাপত্র
দুর্গাকে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে এবার লাগছে জীবাণুনাশক শংসাপত্র
মা দুর্গার কৈলাশ থেকে মর্তে পাড়ি দিতে আর মাত্র ৮০ দিন। তার আগেই মাতৃবন্দনার আশায় বুক বাঁধছেন আপামর বাঙালি। প্রতিবছরই এই সময় থেকে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দেন প্রবাসী বাঙালিরা। এ বছরেও কুমোরটুলি থেকে মা কে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এখান থেকেই মা দুর্গা পাড়ি দেন ভিন রাজ্যে তথা ভিনদেশে।আমেরিকা, জার্মানির মতো দেশগুলোতে মা দুর্গা পাড়ি দেন এই সময় থেকেই।
কিন্তু এবছর করোনানা আবহে সবকিছুই যেন বদলে গিয়েছে। এর আগে কখনও কলকাতা থেকে মা দুর্গাকে বিদেশে পাড়ি দিতে মায়ের পাসপোর্ট লাগেনি, কিন্তু এবার মা দুর্গার ক্ষেত্রেও লাগছে পাসপোর্ট লাগছে। মা দুর্গার সঙ্গে বিদেশযাত্রায় দিতে হচ্ছে পেস্ট কন্ট্রোল এর জীবাণুনাশক শংসাপত্র।
কুমোরটুলি পাড়া ঘুরে জানা গিয়েছে, বিদেশে যাওয়ার জন্য তৈরি প্রতিমা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কুমোরটুলি পাড়ার স্টুডিও পেনসিলভেনিয়াগামী প্রতিমায় শেষ মুহূর্তের তুলির টান দিচ্ছিলেন কৌশিকের মতো মৃৎশিল্পীরা। জানা গিয়েছে, অন্যান্যবার শুধু মাত্র এখান থেকেই অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, আমেরিকা, কানাডা, ফিনল্যান্ডে যায় ৩০ থেকে ৩৫টা প্রতিমা। কিন্তু এবার করনার জেরে অর্ডার অনেক এসেছে। এছাড়াও নিয়মকানুনের ক্ষেত্রে রয়েছে খুব কড়াকড়ি। প্রতিমা তৈরি হওয়ার পর সবদিকেই স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানু মুক্ত করতে হচ্ছে। তাছাড়া যে প্যাকিং বাক্সে প্রতিমা পাঠানো হয়, সেই বাক্সগুলো পেস্ট কন্ট্রোল কে দিয়ে জীবানুনাশক করে তাদের দেওয়া শংসাপত্র পাঠাতে হচ্ছে তবেই প্রতিমাগুলো বিদেশে যাবে।
এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এক চালার পরিবর্তে পাঁচ চালার প্রতিমা পাঠানো হচ্ছে। অন্যান্যবার বিদেশে যে প্রতিমা পাঠানো হয় তা ফাইবারে তৈরি এক চালার বাক্সে। কিন্তু এবার একেকটি চালায় আলাদা আলাদা করে প্যাকিং বাক্সের পাঠানো হচ্ছে প্রতিমা। ফলে বিমান ভাড়া ও বড্ড বেশি। তাই মা এবার জাহাজে চেপে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে।
করোনা ছড়াবেন না, কর্মিসভায় যেতে সায়ন্তনকে বাধা পুলিসের, কোলাঘাটে হুলুস্থূল