আল-কায়েদার 'টার্গেট লিস্টে' বাংলা, দিওয়ালির আগেই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ আইবি-র
বাংলায় হামলা চালানোর ছক কষছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। আইবি-র গোয়েন্দারা এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে যে স্লিপার সেল ব্যবহার করেই এই আক্রমণ চালানোর ছক কষছে আল কায়েদা। রিপোর্টটি ৫ নভেম্বর জমা পড়লেও জনসমক্ষে এল এদিন। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে বাংলার যুব সমাজকে কট্টরপন্থী পথে নিয়ে যেতেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার তোড়জোড় করছে এই জঙ্গি সংগঠন।
মুর্শিদাবাদ এবং কেরল থেকে আল কায়েদা জঙ্গি গ্রেফতার
প্রায় দুই মাস আগে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং কেরল থেকে আল কায়েদার নয় জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দাদের দাবি এই জঙ্গি মডিউল ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করছিল। বিশেষ করে দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীর তাদের টার্গেট লিস্টে ছিলে বলে জানা গিয়েছিল। তবে সেই মডিউল সদস্যদের গ্রেফতারের পরে এই নিয়ে আরও তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরেই বাংলায় হামলার তথ্য উঠে আসে।
কলকাঠি নড়ছে পাকিস্তান থেকে
জানা গিয়েছে পাকিস্তানে স্থিত আল কায়েদার জঙ্গিরা বাংলার যুব সমাজকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের দলে টানার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। মূলত করাচি এবং পেশওয়ার থেকে আল কায়েদা এই জঙ্গি রিক্রুট করার কাজ চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলার যুব সমাজকে কট্টরপন্থী পথে নিয়ে গিয়ে দেশ বিরোধী করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে এই সংগঠন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত কয়েক মাসে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে 'বিষ'
সম্প্রতি এনআইএ এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সোশ্যাল মিডিয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সে বাংলার বিভিন্ন এলাকার যুবকদের কট্টরপন্থী করে তুলতে সচেষ্ট হয়েছিল। এছাড়া উত্ত কর্নাটক থেকে সৈয়দ ইদ্রিস নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। সেও এই কাজে লিপ্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
১৮ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে দায়ের হয়েছিল একটি অভিযোগ
চলতি বছরের ১৮ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এই সম্পর্কিত। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই এই সব তথ্য উন্মোচন করতে সমর্থ হয়েছে গোয়েন্দারা। সম্প্রতি দেশে বেড়ে চলা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে এই তথ্যগুলিকে এক সূত্রে গেঁথে জঙ্গিদের আসল উদ্দেশ্যের উপর থেকে পর্দা সরাতে গিয়েই তদন্তকারিরা বাংলার উপর আসন্ন বিপদের আঁচ পায়।
চলতি মাসেই মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় আরও এক
এর আগে চলতি মাশের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার নজরানা গ্রাম থেকে আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় আবদুল মোমিন মণ্ডলকে। এনআই-এর দাবি, সেপ্টেম্বরে ধৃত ন'জনের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে৷ এনআই-এর ব়্যাডারে আগেই নাম ছিল আবদুল মোমিনের। আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসাবেও তার নাম উঠে এসেছে৷ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আটজন এবং কেরালা থেকে ধৃত একজনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
বঙ্গ রাজনীতিতে এআইএমআইএম 'কাঁটা', মমতার মাথা ব্যাথার কারণ এখন ওয়েইসি!