বাংলায় জোটের দফা-রফা! আব্বাসের কাছে দরবারের পরই প্রার্থী ঘোষণা ওয়েইসির
বাংলায় জোটের দফা-রফা! আব্বাসের কাছে দরবারের পরই প্রার্থী ঘোষণা ওয়েইসির
বাংলার ভোটে কিং-মেকার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকি বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছেন। তার আগে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে জোট করে লড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন আব্বাস। কিন্তু সেই সম্ভাবনার ইতি ঘটে আব্বাস বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে সন্ধি করার পর। যদিও ওয়েইসি মিত্রতা ভুলতে রাজি নন। তিনি আব্বাসের সঙ্গে দেখা করার পরই প্রার্থী ঘোষণা করবেন।
বাংলার ভোটে প্রার্থী দিতে ইচ্ছকু আসাদউদ্দিন ওয়েইসি
মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি চেয়েছিলেন আব্বাসকে মুখ করে বাংলার নির্বাচনে ঝড় তুলতে। কিন্তু আব্বাসের চালে তা হয়নি। আব্বাস অন্য ঘাটে ঘাঁটি গেড়েছেন, তাই আসাদউদ্দিন ওয়েইসি প্রথমে ঠিক করেছিলেন বাংলার ভোটে লড়বে না। কিন্তু শেষে মত পরিবর্তন করে বাংলার ভোটে প্রার্থী দিতে ইচ্ছকু আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
প্রার্থী ঘোষণার আগে আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা চান ওয়েইসি
তবে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি প্রার্থী ঘোষণার আগে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আলোচনা করতে চান। তাই আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তিনি প্রার্থী ঘোষণা করবেন বাংলার নির্বাচনে। কোন আসনে প্রার্থী দেবেন, কোথায় দেবেন না তা নিয়েই মূলত আলোচনা। রাজনৈতি মহলে এই সাক্ষাৎ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে সমঝোতা আব্বাসের!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আব্বাস সিদ্দিকি বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পাশাপাশি আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে সমঝোতা করে লড়তে পারেন। সংখ্যালঘু ভোটের জন্যই এই সমঝোতা হতে পারে। ওয়েইসির এই পদক্ষেপ আবার বাম-কংগ্রেস কেমন চোখে দেখে, সেটাও ফ্যাক্টর। কংগ্রেস একেবারেই মিম প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে চলতে অনিচ্ছুক।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বিজেপির হয়েই কাজ করছেন!
এদিকে, মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি প্রতি নির্বাচনে বিজেপিরই সুবিধা করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর দলেরই প্রাক্তন নেতা। সম্প্রতি আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মিম ছেড়েছেন রাজ্য সভাপতি জামিরুল হাসান। দল ছেড়েই বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। বলেন, আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বিজেপির হয়েই কাজ করছেন। বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েই এই রাজ্যের সফর করে গিয়েছিলেন তিনি।
মিম নেতার সঙ্গে দেখা করেননি, দেখা আব্বাসের সঙ্গে
জামিরুল বলেন, বাংলায় পা দিয়েই আসাদউদ্দিন ওয়েইসি দেখা করেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। তিনি আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপির সুবিধা করতে চেয়েছিলেন। ওয়েইসি তাঁর বাংলা সফরে এ রাজ্যের কোনও মিম নেতার সঙ্গে দেখা করেননি। দেখা করেছিলেন শুধু আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। ওয়েইসি সাহেবের এহেন আচরণে শুধু তিনি নন ব্যথিত হয়েছিলেন মিমের রাজ্য ইউনিটের সদস্যরা।
টেররিজম না থাকলেও টেরর আছে! কেন বিজেপিকে পছন্দ জানালেন, রাসবিহারীর প্রার্থী সুব্রত সাহা