নজরে বিধানসভা! একই মাঠে মোদী-মমতার ডুয়েল দেখবে বাংলার জনতা
হুগলিতে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি। ১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ টি তৃণমূলের।
ভোটের আগে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। খুব শীঘ্রই সম্ভবত ভোট ঘোষণা। মনে করা হচ্ছে চলতি মাসের শেষেই হয়তো রাজ্যে ভোট ঘোষণা হতে পারে। যদিও ইতিমধ্যে বাংলায় ভোটে কাঠি পড়ে গিয়েছে। চলছে জোর ভোট প্রস্তুতি। শাসক-বিরোধী শিবিরেও ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। কেউ কাউকে একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ।
বিশেষ করে তৃণমূল এবং বিজেপিতে ভোট প্রস্তুতি তুঙ্গে। সভা-পালটা সভা ঘিরে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন।
ফের বাংলায় মোদী
ফের বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত কয়েকদিন আগেই হলদিয়াতে রাজনৈতিক সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, এবার মমতাকে বাংলার মানুষ রামকার্ড দেখাবে। ভোটের আগে ফের একবার বাংলায় প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২২ তারিখ বাংলায় মোদী। সরকারি কর্মসূচি তো বটেই, ভোটের আগে রাজনৈতিক সভাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার চুঁচুড়ায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে মাঠ দেখে নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। মোদীর সভার প্রস্তুতি তুঙ্গেও। সবদিক থেকে ভোটের আগে মোদীর সভা সফল করতে বিজেপির প্রস্তুতি চলছে জোরদার ভাবে।
ওই মাঠেই পালটা সভা মমতার
কার্যত বিজেপির কাছে প্রেস্টিজিয়াস ফাইট এই নির্বাচন। অমিত শাহ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বাংলাকে ঘর বাড়ি নিয়ে থাকতেও শুরু করে দিয়েছে। মানুষের মন পেতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বিজেপি নেতারা। এই অবস্থায় ভোটের আগে ইতিমধ্যে দুটি রাজনৈতিক সভা সেরে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি মাসেই হুগলিতে করবেন ফের একটি সভা। । প্রধানমন্ত্রী যে মাঠে সভা করবেন, ঠিক এক দিন বাদেই অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি সেই মাঠেই সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন একচুলও জায়গা ছাড়া নয়! জবাবের পাল্টা জবাব। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী বাংলা এসে যা বলে যাবেন, তার পাল্টা দিতেই যে সেই মাঠে দাঁড়িয়েই চ্যালেঞ্জ ছুড়বেন মমতা, তা একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ফলে সেদিন মমতা কি বলেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।
মোদীর একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচি রয়েছে
প্রথমে ১৮ তারিখ শোনা গেলেও, পরে ২২ তারিখ দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর সূচনা হবে বলে ঠিক হয়। আর তা হবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই। বঙ্গ বিজেপি চেয়েছিল যে, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর রুটের মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজের উদ্বোধন হোক মোদীর হাত ধরেই। সেই মতো ২২ তারিখ তা উদ্বোধন হবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই। অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ও। এছাড়াও কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকেরও একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
টাফ ফাইট! খেলা হবে...
এবার বিধানসভা নির্বাচন অনেকেই বলছেন টাইফ ফাইট। গত লোকসভা নিরিখে একাধিক আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ফলে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। কিন্তু ভোটের পর থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের পায়ের মাটি শক্ত করেছে তৃণমূলও। শাসকদল বলছে খেলা হবে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেকে ২৯৪টি আসনে তিনি নিজেকে প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছেন। সেখানে যদিও বিজেপি বলছে তাঁদের মুখ নাকি চমক। এই অবস্থায় লড়াই জমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে হুগলিতে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি। ১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ টি তৃণমূলের। একটি কংগ্রেস আর একটি সিপিএমের দখলে। তবে সম্প্রতি উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের টিকিটে জেতা বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই অবস্থায় হুগলির প্রত্যেকটি আসনই যাতে এবার নিজেদের দখলে আসে সেই লড়াই চালাচ্ছে বিজেপি।