ভোটের মুখে বাড়ছে উত্তাপ! কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় চলছে সিবিআই তল্লাশি
কয়লা-কাণ্ডে কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই! ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত লালা'র খোঁজে রেড কর্নার নোটিশ জারির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়লা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন জানতে ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্
কয়লা-কাণ্ডে কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই! ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত লালা'র খোঁজে রেড কর্নার নোটিশ জারির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়লা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন জানতে ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এমনকি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের শ্যালিকা এবং তাঁর স্বামীকে জেরা করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে আরও গভীরে যেতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর সেই কারনেই ফের রাজ্যজুড়ে তল্লাশি সিবিআইয়ের।
একাধিক জেলায় চলছে তল্লাশি
সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি অভিযান। কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি-সহ রাজ্যের পাঁচ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী দল। সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা ছাড়া আসানসোল, দুর্গাপুর, বরাকর-সহ মোট ৫টি এলাকায় তল্লাশি চলছে। দুজন শিল্পপতির খোঁজে মূলত তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ওই দুই শিল্পপতি কুলটির বরাকরের আদি বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের ঝাড়খণ্ড, দুর্গাপুর, কাঁকসা, বাঁকুড়ায় ১৩-১৪টি কারখানা রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই লৌহ ইস্পাত কারখানার চালাতেই লালার কাছে থেকে ওই দুই শিল্পপতি কয়লা কিনত বলে খবর।
কাকে কয়লা পাচার করত লালা?
অনুপ মাঝি ওরফে লালাই মূলত বাংলায় কয়লা পাচার করত! তা তদন্ত জানতে পেরেছে সিবিআই। একিন্তু লালার কাছ থেকে বেআইনি কয়লা কিনত কারা? সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আফ তদন্তে নেমে দুই শিল্পপতি অর্থাৎ অমিত আগরওয়াল ও সনু আগরওয়ালের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছে বিপুল কয়লা বিক্রি করা হত বলে জানা যাচ্ছে। আর তাঁদের জেরা করা প্রয়োজন। আর সেই কারনেই চারটে গাড়িতে ১০ জন তদন্তকারী আধিকারিক অমিত আগরওয়াল ও সনু আগরওয়ালেরর বরাকরের বাড়িতে হাজির হন। যদিও সেখানে দুজনের খোঁজ মেলেনি। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ওই আধিকারিকরা। এদিকে শেক্সপিয়র সরণীতে তাদের অফিসেও চলছে তল্লাশি অভিযান। তদন্তকারীদের ধারণা, এই দুই শিল্পপতিদের কাছ থেকে লালার ব্যবসার খুঁটিনাটি জানা যাবে। উল্লেখ্য, অমিত ও সনুর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে
লালা ঘনিষ্ঠ একজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি
অন্যদিকে, বেআইনি কয়লা পাচার মামলায় বড়সড় সাফল্য পেয়েছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। শুক্রবার রাতে সিআইডির একটি দল পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থেকে গ্রেফতার করেছে অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ একজনকে। ধৃতর নাম রনবীর সিং। রনবীর সিংয়ের বাড়ি অন্ডাল থানার কাজোড়া এলাকায়। সিআইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। যা, এই মামলার তদন্তে অনেক সাহায্য করবে। প্রয়োজনে রণবীরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই।
অভিষেকের আত্মীয়কে জেরা করেছে সিবিআই
কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে নেমে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা। আর সেই কারনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার স্বামী এবং তাঁর শ্বশুরকে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেরা করা হয়েছে অভিষেকের স্ত্রী এবং শ্যালিকাকেও।