বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় ছিল শর্ত! রাখল দল, সুজিত-সব্যসাচী লড়াই দেখবে বিধাননগরবাসী
সুজিত বনাম সব্যসাচী! জল্পনাটাই ছিল। এবার বাস্তবেই দুজনেই লড়াই দেখবে বাংলা। বিধাননগর কেন্দ্র থেকে বিদায়ী বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি।
সুজিত বনাম সব্যসাচী! জল্পনাটাই ছিল। এবার বাস্তবেই দুজনেই লড়াই দেখবে বাংলা। বিধাননগর কেন্দ্র থেকে বিদায়ী বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি।
যদিও এই কেন্দ্রে এবারও সুজিত বসুকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। সুজিতের শক্ত ঘাঁটি বিধাননগর। সল্টলেকের বাসিন্দা হলেও রাজারহাট নিউ টাউনে লড়াই করেছেন। ফলে এবার কেন্দ্রেও যথেষ্ট লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময়ে শর্ত দিয়েছিলেন সব্যসাচী
তৃণমূলের সঙ্গে তিক্ততা। সব্যসাচীর উপর একের পর এক ধাক্কা। সেই সময় সব্যসাচীর পাশে দাঁড়ান মুকুল রায়। এরপর ধীরে ধীরে পদ্মেই ফোটেন তিনি। আর সেই সময় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় শর্ত দিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। বিজেপিকে জানিয়েছিলেন যে, ভোটে টিকিট দিলে বিধাননগর থেকেই যেন দেওয়া হয়। সেই শর্ত মেনে সব্যসাচীকে বিধাননগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করল বিজেপি। সুজিতের কারনেই মূলত তৃণমূল ছাড়েন সব্যসাচী! তাই বলেন অনেকেই। তাই রাজনীতির ময়দানে এবার সুজিত বসুকে হারাতে চাইছেন সব্যসাচী।
বাস্তবেই এবার সুজিত-সব্যসাচীর লড়াই দেখবে বাংলা
তৃণমূলে থাকাকালীন সব্যসাচী এবং সুজিত বসুর মধ্যে 'মিত্রতা' ছিল বলে শোনা যায়নি। তবে দু'জনের 'লড়াই' হয়নি কখনও। এ বার সেটাই হতে চলেছে বিধাননগরে। বিধননগরের মেয়র পদ নিয়েই যত 'কাণ্ড'। ওই পদ পাওয়ার বাসনা যে সুজিতেরও ছিল, সে কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু ২০১৫-র নির্বাচনের পরে সুজিত, কৃষ্ণা চক্রবর্তীদের টেক্কা দিয়ে সব্যসাচীই আদায় করে নেন মেয়র পদ। এর পরে ক্রমশ আরও বেড়েছিল দলের অন্দরের টানাপড়েন। কৃষ্ণা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সব্যসাচী আর সুজিতের লড়াই মাঝে মধ্যেই দলকে বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে। বারবার তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে মাঠে নামতে হয়েছে। যদিও শেষমেশ বিজেপিতেই যোগ দেন সব্যসাচী। বিজেপি সূত্রে খবর, শুরু থেকেই সব্যসাচীর দাবি ছিল, তাঁকে বিধাননগর আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে হবে। একই সঙ্গে রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্র তাঁর কাছের কাউকে দিতে হবে।
বিধাননগরে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি
গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধাননগর কেন্দ্রে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। বারাসত লোকসভা আসন তৃণমূল জিতলেও বিধাননগর বিধানসভা এলাকায় ভোট পেয়েছিল ৫৮ হাজার ৯৫৬টি ভোট। অন্য দিকে বিজেপি পায় ৭৭ হাজার ৮৭২টি ভোট। সেই হিসেবে বিধাননগরকে 'সুবিধাজনক' আসন বলেই মনে করছে বিজেপি।
জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সব্যসাচী!
নাম ঘোষণা হতেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন সব্যসাচী। নেমে পড়েছেন তাঁর অনুগামীরাও। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব্যসাচী বলেন, এটা ওয়াকওভার গেম। আমাকে আশেপাশের বিধানসভা কেন্দ্রগুলি যাতে জেতাতে পারি সেটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। আর সুজিত বসুকে অর্ধশিক্ষিত বলেও তীব্র আক্রমণ করেন সব্যসাচী।