প্রথম দফার ভোটের আগে জরুরি বৈঠক ডাকল কমিশনের ফুলবেঞ্চ, থাকবেন মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ২৭ মার্চ প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। সেদিন ভোট গ্রহণ হবে মোট ৩০টি আসনে। পাঁচটি জেলাতে ভোট গ্রহণ হবে এই দফায়।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ২৭ মার্চ প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। সেদিন ভোট গ্রহণ হবে মোট ৩০টি আসনে। পাঁচটি জেলাতে ভোট গ্রহণ হবে এই দফায়।
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পার্ট ১ এবং পূর্ব মেদিনীপুর পার্ট ১ ভোট গ্রহণ হবে। জোরচার চলছে প্রচার। আদিবাসী ভোট কার দিকে থাকবে তা নিশ্চিত করতে কার্যত ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে প্রথম দফা বৈঠকের আগে জরুরি বৈঠক ডাক জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
জরুরি বৈঠকের ডাক জাতীয় নির্বাচন কমিশন
২৫ মার্চ জরুরি বৈঠক ডাকল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অনলাইনের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে। বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি। শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে জানতে এই জরুরি বৈঠক হবে। কীভাবে বাহিনী মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হবে। এই বৈঠকে বিশেষ পর্যবেক্ষক সহ কমিশনের অন্যান্য আধিকারিকরাও থাকবে। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে সম্ভবত কমিশন কড়া বার্তা দিতে পারে রাজ্য প্রশাসনকে।
কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ
জানা যাচ্ছে আগামী ২৩ মার্চ বাংলায় আসছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। যদিও দক্ষিণবঙ্গে নয়, এবার ফুলবেঞ্চ উত্তরবঙ্গে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ফুল বেঞ্চের সদস্যদের। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করতে পারেন বলে খবর। চারদিন ধরে বাংলার ভোটের অবস্থা খুঁটিয়ে দেখে ২৮ তারিখ কমিশনের সদস্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। একেবারে ভোটের মুখে ফুল বেঞ্চের বাংলা সফর রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। উত্তরবঙ্গ থেকেই এই বৈঠক করতে পারে কমিশন।
৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগতে পারে
ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ চলছে। তবে বাহিনী আরও প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার জন্যই ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানালেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। আট দফার জন্য এই পরিমাণ বাহিনী চাওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দফাতেই এই বাহিনী চেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। আট দফায় ভোটই রাজ্যের জন্য নজিরবিহীন। আর এই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজিরও নেই রাজ্যে।
বাহিনী মোতায়েনের নকশা তৈরি
ইতিমধ্যে বাহিনীকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে সেই নকশা তৈরি করে ফেলেছেন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। এছাড়াও বাংলার কোন জেলায় কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তার একটা প্রাথমিক নকশা তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলে প্রতি বুথেই থাকবে এক সেকসন অর্থাৎ বাহিনীর আট জন করে বাহিনী থাকবে বলে খবর। গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ক্যুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা এবার দ্বিগুন থাকবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য রাখা হচ্ছে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ভোট শেষের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষ মোকাবিলা করতে রাখা হবে ৫ কোম্পানি বাহিনী।